ইউনিক প্রতিবেদনক : মহামারি করোনার কারণে এক বছরেরও বেশি সময় বন্ধ ছিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হলেও বার্ষিক পরীক্ষা নিয়ে সংশয়ে ছিল শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরা।
সব জল্পনা কল্পনা শেষে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষা শুরুর তারিখ জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর- মাউশি। দশম শ্রেণির নির্বাচনি পরীক্ষা নেয়ার নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে পরীক্ষা হবে কেবল তিন বিষয়ে- বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত। ৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেয়া হবে দেড় ঘণ্টায়।
তিনটি বিষয়ের মধ্যে বাংলা ও সাধারণ গণিতে ৩৫ নম্বর থাকবে লিখিত পরীক্ষায়, ১৫ থাকবে এমসিকিউতে। তবে ইংরেজিতে প্রথম পত্রে ৩০ নম্বর ও দ্বিতীয় পত্রে থাকবে ২০ নম্বর। প্রতিটি পরীক্ষার সময় দেড় ঘণ্টা।
এর সঙ্গে অ্যাসাইনমেন্টে ৪০ ও স্বাস্থ্যবিধিতে থাকবে আরও ১০ নম্বর।
আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে পরীক্ষা চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও নির্বাচনি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে বলে জানানো হয়েছে।
বুধবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক সৈয়দ মো. গোলাম ফারুকের সই করা অফিস আদেশে এই বিষয়টি জানানো হয়েছে। এতে বেশ কিছু শর্তের উল্লেখ হয়েছে।
তবে দশম শ্রেণিতে নির্বাচনি পরীক্ষার বিষয়ে আলাদা কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি এই আদেশে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (বিদ্যালয়) বেলাল হোসাইন নিউজবাংলা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমায় বার্ষিক পরীক্ষা নেয়ার তারিখ দেয়া হয়েছে।’
যেসব অধ্যায় থেকে অ্যাসাইনমেন্ট (বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ গণিত বিষয়) দেয়া হয়েছে, সেসব অধ্যায় এবং গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শ্রেণিকক্ষে যেসব অধ্যায় পড়ানো হয়েছে, তার ওপরই নেওয়া হবে এই পরীক্ষা।
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর বার্ষিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে চলমান সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের ওপর ৪০ নম্বর যোগ করতে হবে।
বার্ষিক পরীক্ষায় সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর আরও ১০ নম্বর যোগ করতে হবে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। দেড় বছর পর এ বছরের ১২ সেপ্টেম্বর খুলে দেয়া হয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ধীরে ধীরে খুলে দেয়ার ঘোষণা আসছে।
গত বছর করোনার কারণে স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা না নিয়ে সবাইকে ওপরের শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এবারও প্রাথমিক সমাপনী ও অষ্টম শ্রেণি সমাপনী জেএসসি পরীক্ষা না নিয়ে অটোপাস দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।