জাবির হলের তালা ভেঙে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ২০২১-০২-২০ - ১৭:১৭

ঢাকা : তালা ভেঙে আবাসিক হলে প্রবেশের পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮ হলের মধ্যে ১০টিতে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হলের তালা ভেঙে ভেতরে সপ্রবেশের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

এরআগে, শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নেন। পরে তারা আল-বেরুনি ও ফজিলাতুন্নেছা হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।

এরআগে, শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গেরুয়া গ্রামে খেলা নিয়ে বিরোধের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। এতে অন্তত ৩৭ জন শিক্ষার্থী আহত হন। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় সাভারের এনাম মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। সংঘর্ষ চলাকালে শিক্ষার্থীদের আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তাদের কয়েকটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেয় স্থানীয়রা। গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলতে থাকে।

এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি জানিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে- সাত দিনের মধ্যে গেরুয়ার সন্ত্রাসীদের হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে হবে, আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস) নিশ্চিত করতে হবে, শুক্রবারের হামলায় আহত শিক্ষার্থীদের দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে ও প্রক্টরের বক্তব্য প্রত্যাহার করে, ক্ষমা চাইতে হবে এবং প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিকে স্বাগত জানিয়েছে ছাত্রলীগ। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা মিছিল সহকারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন।

আজ বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার এলাকায় জড়ো হয়ে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী হল খুলে দেওয়ার দাবি জানান। পরে তারা মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর হয়ে সোজা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এসে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ‘এক দফা এক দাবি, আজকে হল খুলে দিবি’ স্লোগান দিতে থাকেন।

অবস্থানরত শিক্ষার্থী রাকিবুল হক রনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা হল খোলার দাবিতে অবস্থান নিয়েছি। বৃহস্পতিবার গেরুয়া এলাকার ঘটনায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েরই হল খোলা হয়নি। সরকারি সিদ্ধান্ত না আসলে আমরা হল খোলার সিদ্ধান্ত নিতে পারি না।

তবে শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলে অবস্থান নেওয়ার বিষয়ে হল প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আজ শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে উপাচার্যদের বৈঠক রয়েছে। ওখান থেকে আমরা আশা করছি কোনও দিক-নির্দেশনা আসতে পারে।