চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে জামাত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে চলছে চিকিৎসার নামে ডাকাতি, আইসিইউতে এক রাত চিকিৎসাধীন থাকা রোগীকে ৯৬ হাজার টাকার বিল ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে হাসপাতালের কর্মকর্তারা বলছেন, করোনা সন্দেহে রোগীর বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ প্রয়োগের কারণে টাকার পরিমাণ বেড়েছে।
জানা গেছে, জামাত-শিবিরের অধ্যায়নের প্রতিষ্ঠিত বহুল আলোচিত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে হাবিবুর রহমান নামের ওই রোগী ২০ জুন রাত ১১টায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি হন। বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে সোমবার (২১ জুন) সকালে ৯৫ হাজার ৯৮২ টাকার একটি বিল দেওয়া হয়।
এতে দেখা যায়, একরাতের বেড চার্জ বাবদ রাখা হয়েছে ৯ হাজার টাকা, কনসালটেশন ফি ৭ হাজার ৩৭০ টাকা, ওষুধ বাবদ ৩১ হাজার ৭২২ টাকা, অক্সিজেন চার্জ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, প্যাথলজি বাবদ ১৩ হাজার ৬৩০ টাকা, রেডিওলজি বিল ৭ হাজার ৬২ টাকা এবং সার্ভিস চার্জ রাখা হয়েছে ১৫ হাজার ৯৯৭ টাকা। এছাড়া সিবিসি, অভ্যন্তরীণ কনসালটেশন চার্জ, নেবুলাইজেশন চার্জ, অ্যাম্বুলেন্স চার্জ বাবদ বিল করা হয়েছে।
রোগীর ছেলে অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, রোববার (২০ জুন) রাতে হাসপাতালে বাবাকে ভর্তি করিয়েছি। চিকিৎসকরা কোভিড সন্দেহ করছেন। কিন্তু মাত্র ১২ ঘণ্টায় বিল এসেছে ৯৫ হাজার ৯৮২ টাকা। এত কম সময়ে এতবড় বিল অবিশ্বাস্য। এমন অবস্থা হলে চিকিৎসা করাতে সাধারণ মানুষের হিমশিম খেতে হবে।
অভিযোগের বিষয়ে মেট্রোপলিটন হাসপাতালের জিএম মোহাম্মদ সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘হাসপাতালে বিল কোনোভাবেই বেশি রাখার সুযোগ নেই। রোগীর শারীরিক অবস্থার ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। ওই রোগীর শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো ছিল না। তাই হাই ফ্লো অক্সিজেন দিতে হয়েছে। এছাড়া করোনার ওষুধগুলো খুবই দামি। এজন্য হয়তো বিল বেশি এসেছে’