জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-১৭ - ১২:৫৪

ইউনিক ডেস্ক : নতুন কারিকুলামের কারণে অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। ফলে এ দুটি পরীক্ষা আর হবে না। ২০২৩ সাল থেকেই জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার সুপারিশ অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা না থাকায় জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপ-সচিব আক্তার উননেছা শিউলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

অফিস আদেশে বলা হয়, জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ অনুযায়ী জেএসসি ও জেডিসি পাবলিক/বোর্ড পরীক্ষা গ্রহণের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বিধায় ২০২২ ও ২০২৩ এবং তৎপরবর্তীতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) এবং জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা বাদ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। অফিস আদেশে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। আর ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

করোনার সংক্রমণের কারণে গত তিন বছর ধরে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা পরীক্ষা হয়নি।

২০০৯ সালে হঠাৎ করেই জাতীয়ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে সরকার। প্রথমে শুধু সাধারণ ধারার শিক্ষায় এটি সীমাবদ্ধ ছিল। পরে মাদ্রাসার ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (পঞ্চম শ্রেণির সমমান) পরীক্ষাও চালু করা হয়। এরপর ২০১০ সালে জেএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এসব পরীক্ষা নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা আছে। সাধারণত প্রতি বছরের নভেম্বরে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা হতো। কিন্তু করোনার সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। টানা প্রায় ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। এ জন্য গত তিন বছর এ পরীক্ষাগুলো হয়নি।

এদিকে, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও গত তিন বছর ধরে আর হচ্ছে না। কিন্তু বিদায়ী বছরের শেষ পর্যায়ে আকস্মিকভাবেই পঞ্চম পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ওপর প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা চাপিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে সমালোচনা চলছে।