জ্বালানি খাত নিয়ে শঙ্কা এখন বাস্তবে পরিণত হচ্ছে : জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম

প্রকাশঃ ২০২৩-০৬-২২ - ১৫:৩৮

ইউনিক ডেস্ক : জ্বালানি খাতের যে শঙ্কা তা এখন বাস্তবে পরিণত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।

তিনি বলেছেন, ‘এখন যে জ্বালানি সংকট। শিল্প কারখানায় জ্বালানি দিতে না পারায় যে ইফেক্ট তৈরি হচ্ছে, কারখানায় ঠিকমতো উৎপাদন হচ্ছে না, বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে, ব্যয় কমাতে কর্মচারী ছাঁটাই হচ্ছে। সংকট নিয়ে আমরা বহুদিন ধরে যেসব কথা বলে আসছি এখন সেগুলো বাস্তবে পরিণত হচ্ছে।’

আজ বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুল আলম বলেন, ‘সরকার আনন্দ উৎসব করে বড় বাজেট পেশ করেন। ওনারা যত বেশি আনন্দিত হন আর আমরা শঙ্কিত হই। এবারের বাজেটের অবস্থা দেখে আমার প্রথম মনে হচ্ছিল, সরকারের কর্তা ব্যক্তিরা যখন বলছিলেন আমরা অনেক বড় বাজেট দিতে পেরেছি, এত বড় বাজেট দেওয়া একটা বিরাট সাহসের ব্যাপার, কিন্তু সেখানে ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি, সেখানে ইনফ্লেশন ৬ শতাংশ, আমাদের ক্যাবের হিসেবে তা ১০ পার্সেন্ট ছাড়িয়ে গেছে।’

ক্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘বলা হয়েছে দুই লক্ষ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি আছে। আর তা মেটাতে ব্যাংক থেকে লোন নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তারা একটা কথা বলেনি যে আমরা টাকা ছাপাব, টাকা ছাপিয়ে যদি ঘাটতি পূরণ করে তবে যে ইনফ্লেশন সেটা ঠেকাবে কিভাবে?

শামসুল আলম আরও বলেন, ‘এখন ডলারের মূল্য ১০৮ টাকা। বাজারে ১১২ টাকা নিচে পাওয়া যায় না। তারপরেও ব্যাংকে গেলে বলে টাকা নাই। এরপরেও যদি কমে তাহলে সাধারণ মানুষের যে আয়, এরা বাঁচবে কী করে।’

এই জ্বালানি বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বাড়বে। কারণ যারা বিক্রি বা রফতানি করে সে কৌশল তাদের জানা আছে। আন্তর্জাতিক বাজারে যদি দাম নাও বাড়ে তারপরও তো আমাদের মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য জ্বালানি বা বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। তাহলে আমি এতবড় বাজেট দেখে কেন আতঙ্কিত হব না?’

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. গোলাম মোয়াজ্জেমের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআইএ’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরূল ইমাম, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক, জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ প্রমুখ।