ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ যৌতুকের দাবীতে অমানুষিক নির্যাতনের হাত থেকে পালিয়ে এসে ঝালকাঠিতে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন গৃহবধু পাখি বেগম। বৃহস্পতিবার বিকেলে পালিয়ে আসা পাখি বেগম বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের ঝালকাঠি জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত সাংবাদিকদের নিকট কান্নাজড়িত কন্ঠে নির্যাতনের নির্মম কাহিনী বর্ণনা করেন। স্বামী মাইনুল হাসান রনির পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় ঢাকার মিরপুরের রুপনগরের বাসায় প্রতিনিয়ত ঘরে আটকিয়ে মারধর করতো পাখিকে। গত ২৩ মে ২০১৭ পাখি বেগমকে শারীরিক নির্যাতন করে রক্তাক্ত জখম করায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসা করানো হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় শালিস নিষ্পত্তি করা হলে মামলা করা হয়নি। এর আগে গত ৩ এপ্রিল মারধর করার অভিযোগে রুপনগর থানায় একটি জিডি নং ৯৯ করেন। এরপর পুনরায় শুরু হয় শারিরীক ও মানষিক নির্যাতন। সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষে রনি স্ত্রী পাখিকে বেড়ানোর কথা বলে বাড়ি নিয়ে আসেন এবং কৌশলে স্ত্রীকে বাড়ি রেখে ঢাকায় চলে যান। ২০১০ সালে পটুয়াখালী জেলার মির্জাপুর উপজেলার উত্তর ঝাটিবুনিয়া গ্রামের মোস্তফা হাওলাদারের কন্যা পাখি বেগম। ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের পূর্ব ভাওতিতা গ্রামের আলমগীর হাওলাদারের ছেলে মাইনুল ইসলাম রনি ও পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার উত্তর ঝাটিবুনিয়া মহিষকাটা গ্রামের মোস্তফা হাওলাদার এর কন্যা মাহফুজা আক্তার পাখি বেগম এর খালা লিলি বেগম এর সাথে একই প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করা অবস্থায় পরিচয় ঘটে। পরে বিগত ছয় বছর আগে উভয়ের পরিবারের সম্মতিতে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক শুভ বিবাহ হয়। বিবাহের পর থেকে কয়েক বছর সুখেই সংসার কাটতেছিল কিন্তু বিধিবাম যৌতুকের অভিশাপের কারনে সেই সুখের সংসার হলো না গৃহবধু পাখি বেগমের। পরে ফুসলিয়ে পাখি বেগমকে নিজ বাড়ি পোনাবালিয়ার পূর্ব ভাওতিতা গ্রামে নিয়ে আসেন। সংসারে বহু চেষ্টা করেও সন্তান নিতে পারেননি ভুক্তভোগী পাখি বেগম।