ঝালকাঠিতে প্রধান শিক্ষকের ১২ বছর কারাদন্ড

প্রকাশঃ ২০১৭-০৭-০৫ - ২২:৪৩

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ শিক্ষাগত সনদ জালিয়তিসহ তিনটি মামলায় ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ডেবরা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রুহুল আমিনকে মোট ১২ বছর কারাদন্ড প্রদান ও ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

এরমধ্যে সনদ জালিয়াতি ও সরকারি কাজে বাঁধা দানের মামলায় ৫ বছর করে ১০ বছর ও প্রতারনা মামলায় ২ বছর কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু মো. শামীম আজাদ এ আদেশ দেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি সঞ্জীব বিশ্বাস।

মামলা সুত্রে জানা গেছে, ভুয়া সনদের অভিযোগে গত ১০ বছর ধরে রুহুল আমিনের এমপিও স্থগিত রয়েছে। জাল সনদে শিক্ষকতা, প্রতারণা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে ২০১১ সালের ২৬ জুন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় মামলা করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। বাদী তৎকালীন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে এম হারুন অর রশিদ, উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসার মো. ইউনুচ আলী আকন, উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. আবুল বাশার তালুকদার, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (সনদ) সরদার মো. এরশাদ, যশোর শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চ মাধ্যমিক) মো. আজমল গনিসহ সাতজনকে মামলায় সাক্ষী করা হয়। জিআর মামলা নং ১০০/২০১১। মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ১০ অক্টোবর দন্ড বিধির ৩৫৩, ৪০৬, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারার অধীনে ঝালকাঠির আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

চার্জশিটে বলা হয়, ‘স্কুলের চাকরিতে যোগদানের সময় রুহুল আমিনের দাখিল করা এসএসসি, এইচএসসি সনদকে যশোর শিক্ষা বোর্ড এবং বিএ ও বিএড পরীক্ষার সনদকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভুয়া বলে প্রত্যয়ন করেছে। তার বিরুদ্ধে শিক্ষাগত সনদ জালিয়তি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়’। ২০১৩ সালের ৮ এপ্রিল এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসারের তদন্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের শিক্ষাগত সকল সনদই ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের জুনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওই শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেন। পরে ওই স্কুলের শিক্ষকদের মাসিক হাজিরা খাতায় রুহুল আমিনের এমপিও স্থগিতের বিষয়টি উল্লেখ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। এরপর এমপিও স্থগিতের বিষয়টি মাসিক হাজিরা খাতায় উল্লে না করতে হুমকি ও চাপ সৃষ্টির অভিযোগে রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।