ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের বেশির ভাগ ক্লিনিকগুলোতে সর্বক্ষণ অভিজ্ঞ ডাক্তার নেই ও নার্স নেই। নেই চিকিৎসা দেয়ার মতো উন্নত পরিবেশ। অপারেশন থিয়েটার দেখলে মনে হবে গৃহস্থবাড়ির রান্নাঘর। তারপরও প্রতি বছর ক্লিনিকগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলায় সর্বমোট ক্লিনিক ও ডায়াগনেষ্টিক সেন্টার আছে ১৬৪টি। এর মধ্যে ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় আছে ৬৭টি, হরিণাকুন্ডুতে ১৩টি, শৈলকুপায় ১৯টি, মহেশপুরে ১৮টি, কালীগঞ্জে ৩১টি ও কোটচাঁদপুর উপজেলায় ১৬টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে নির্দিষ্ট ছকে পাঠানো তালিকায় দেখা গেছে খোদ ঝিনাইদহ জেলা শহরে অবস্থিত অনেক ক্লিনিকে জনবল, যন্ত্রপাতি, সর্বক্ষণ ডাক্তার এবং নার্স নেই। সব ক্ষেত্রে নেই অবস্থার মধ্যেই প্রতি বছর এসব ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে। জনবল নেই এমন তালিকায় রয়েছে কাজল ক্লিনিক ও ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতাল ডাকবাংলা, সৃজনী হাসপাতাল, হলিধানী বিএম প্রাইভেট হাসপাতাল, শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডের কেয়ার হাসপাতাল, সদর উপজেলার বৈডাঙ্গা প্রাইভেট হাসপাতাল, ঝিনাইদহ শহরের ল্যাব এইড প্রাইভেট হাসপাতাল, বাজার গোপালপুরের নিউ ইসলামী প্রাইভেট হাসপাতাল ও গোয়ালপাড়া হাবিবা প্রাইভেট হাসপাতাল। ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডাঃ রাশেদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে আমরা খুবই কঠোর। শর্ত পুরণ করা না হলে কারো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না। তিনি বলেন ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে আমরা কারো লাইসেন্স নবায়ন করিনি। তাছাড়া এখন থেকে বিষয়টি মন্ত্রনালয় দেখভাল করছে। তিনি এও বলেন আমরা অভিযোগ পেলেই ত্রুটিপুর্ণ ক্লিনিকগুলো সিল গালা করে বন্ধ করে দিচ্ছি।