ঝিনাইদহে বিএনপি-ছাত্রলীগ সংঘর্ষে আহত ৬

প্রকাশঃ ২০২৩-০২-২৩ - ১৪:১০

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিএনপি ও ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সরকারি মাহাতাব উদ্দিন ডিগ্রি কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে কালীগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা নিশ্চিত করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সরকারি মাহাতাব উদ্দিন কলেজের “শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়ার পথে ছাত্রলীগ এবং বিএনপির নেতাকর্মীরা কলেজ গেইটের এলাকায় মুখোমুখি হয়ে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। দুই পক্ষেও কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এ সময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে পথচারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৬ জন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে ছাত্রলীগকর্মী ইরফান রাজা রুকুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। অন্যরা ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়। কালীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আশরাফুল আলম বলেন, আমাদের ছেলেরা দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এসে হামলা করে। তারা পরিকল্পিত ভাবেই আগে থেকে লাঠি সোটা নিয়ে এসেছিল। ফিরে যাওয়ার সময় কালীগঞ্জ বিএনপি নেতাকর্মীরা কাঁচাবাজার এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী ইরফান রাজা রুকুকে একা পেয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। একটি ককটেল বিস্ফোরণও ঘটানো হয়। তারা প্রশাসনের আয়োজনে বের হওয়া শোভাযাত্রায়ও হামলা করে বলে অভিযোগ করেন মেয়র। তবে পাল্টা অভিযোগ করে স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সাইদুল ইসলাম বলেন, শ্রদ্ধা জানানো শেষে কলেজের বাইরে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে পিছন থেকে আমাদের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধাওয়া করলে এ সময় আমাদের নেতা-কর্মিরা প্রতিরোধ করে। সেসময় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. আরিফুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে রুকুর শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল রহিম মোল্লা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে উপজেলা শহরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।