মহেশপুর উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, মহেশপুর উপজেলায় এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে ১৭৪৮৫ হেক্টর জমিতে। তেমনি ভাবে ফলনও ভালো হয়েছে। এখন বোরো ধান কেটে বাড়ি আনতে কৃষকের সোনালী ফসল ঘরে তুলতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে বৃষ্টির কারণে মাঠে কেটে রাখা ধান গেছে তলিয়ে। যার ফলে ভিজে ধান ঘরে তোলা, ধান মাড়াই করে শুকাতে গিয়ে বিপদে পড়তে হচ্ছে কৃষকদের। চোখের সামনেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কষ্টে উৎপাদিত শত শত একর জমির ধান।
ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে তারা সবাই ২ থেকে ৩ বিঘা করে জমির ধান কেটেছেন। কিন্তু শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সব ধান পানির নিচে। এখন ধান বাঁচানোর জন্য বিচালি রেখেই ধান তুলতে হচ্ছে। তারা জানান, এমনিতেই বাজারে ধানের দাম কম তার পর বিচালির বাবদ বিঘাপ্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা লোকসান হবে। এ অবস্থায় সঠিক সময়ে ধান শুকিয়ে ঘরে না তুলতে পারলে ওই ধান গবাদি পশুকে খাওয়ানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসবে না !
মহেশপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাছান আলী জানান, উপজেলায় প্রায় ৫০% ধান কাটা হয়েছে। প্রাকৃতিক সমস্যায় কারও কিছুই করার নেই। বৃষ্টিতে যে সমস্ত বোরো ক্ষেত তলিয়ে গেছে সে সমস্ত ক্ষেতের আইল কেটে দ্রুত পানি বের করে দিতে হবে। এবং যতদ্রত সম্ভব বিচালি রেখেই ধান ঘরে তুলতে হবে।