ঠাকুরগাঁওয়ে মাদ্রাসার ছাত্রীকে ধর্ষণ

প্রকাশঃ ২০২২-০৮-১৮ - ২৩:১৮

ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার আপন ফুপা রাজুর (৩০) বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগষ্ট) দুপুরে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান বিষয়টি গণমাধ্যমকে বলেছেন। একই মামলায় আরও একজনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন, জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের ধনিবস্তী গ্রামের হালিম উদ্দীনের ছেলে ও মাদ্রাসা ছাত্রীর আপন ফুপা রাজু এবং একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে আবেদ আলী।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবেদুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, গত জুলাই মাসের ২২ তারিখ বিকেল ৫টার দিকে মাদ্রাসা ছাত্রীর বাবা ও মা ব্যক্তিগত কাজে বাড়ির বাইরে ছিলেন।

সেই সুযোগে ছাত্রীর আপন ফুপা রাজু তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। তার চিৎকারে স্থানীয়রা এসে রাজুকে ধরে ফেলেন। কিন্তু অপর আসামি আবেদ আলী এসে অস্ত্রের মুখে তাকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যান।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দু’জনকে আসামি করে গত ৮ আগস্ট ঠাকুরগাঁও জেলা ও দায়রা জজের বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলার জন্য আবেদন করে ভুক্তভোগীর পরিবার।

পরে বিচারক বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মামলা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ মামলাটি গ্রহণ করলে গতকাল বুধবার ওই মাদ্রাসাছাত্রী আদালতে এসে বিচারকের কাছে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে। ভুক্তভোগীর পরিবার আদালতে ন্যায়বিচার পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, নিজের বোন জামাই হয়েও আমার মেয়ের এত বড় সর্বনাশ করেছে। মেয়ে ও বোন দুজনই আমার কাছের। আমি প্রথমে কয়েক দিন বুঝে উঠতে পারিনি কোন দিকে যাব। স্থানীয় লোকজন এবং বোনের সঙ্গে কথা বলে আদালতের আশ্রয় নিয়েছি। তাই মামলা করতে এতদিন দেরি হয়েছে। আমি ধর্ষক রাজুর ফাঁসি চাই।

এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম বলেন, আদালতের নির্দেশ পাওয়া মাত্র মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ আগস্ট) মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।