সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাক্তার সংকটে ধুকেধুকে চলছে । প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসায় ৪জন ডাক্তার। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দেবহাটা উপজেলাবাসি। লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় কাগজে কলমে নিয়োজিত ৯জন ডাক্তার থাকলেও তার মধ্যে আবার ৫জন ডাক্তার ডেপুটেশনে বাইরে। ফলে সাধারণ জনগণ রয়েছে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে। মঞ্জুরীকৃত ১৫ জন ডাক্তারের পদ থাকলেও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন মাত্র ৪ জন। এ হাসপাতালটি ১৯৮৩ সালে ৩১ শয্যার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়ন করতে সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হক এমপি’র একান্ত প্রচেষ্টায় ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উন্নীত করা হয়।
জানা গেছে, জেলার দেবহাটা থানা নিয়ে এ উপজেলাটির একমাত্র সরকারি চিকিৎসা কেন্দ্র এটি। উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের বিশাল আয়তনের লক্ষাধিক নাগরিকের সু-চিকিৎসা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, লোক-বল সংকটই মুখ্য বিষয়। হাসপাতালটিতে ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ শ্রেণির ১২২টি পদ থাকলেও ২১ পদই রয়েছে খালি। এছাড়া আরও কর্মরত ৫ জন ডাক্তার ডেপুটেশনে। ফলে সীমিত জনবলে বিশাল জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সাধারণ জনগণের চিকিৎসা সেবার মানোন্নয়ন কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জনবল সংকট আষ্টে-পিষ্টে জড়িয়ে ধরেছে দেবহাটা উপজেলাবাসির স্বাস্থ্য সেবা কার্যক্রমে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের পরিসংখ্যাবিদ মামুন জানান, জনবল সংকটে বর্তমান হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবা দিতে হিমশিম খেতে হয়। এ বিষয়ে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল লতিফ বাইরে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যানের উদ্যোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি সভার আয়োজন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন তৌহিদুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা আব্দুল লতিফসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ। এ কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ অভিযোগ করে বলেন, ডাক্তার ও জনবল সংকটের কারণে দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে থেকে গরীব রোগীরা চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়াও হাসপাতালের জনবল সংকট, যন্ত্রপাতি সংকট, নিয়োগপ্রাপ্তরা ডেপুটিশনে থাকাসহ বিভিন্ন সমস্যাগুলো সিভিল সার্জনকে অভিহিত করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী আব্দুল মজিদ বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করে জনবলের জন্য চাহিদা দেয়া হয়েছে। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে এর সমাধান হবে।