খুলনা : নগরীর খুলনা সদর থানার দায়ের হওয়া চিকিৎসক আব্দুর রকিব খান হত্যা মামলার দুই আসামিকে আদালত ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাস কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল, খুলনা- এর বিচারক মো: নজরুল ইসলাম হাওলাদার সোমবার বেলা ১১ টার পরে এ রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, লবনচরা থানার নিজ খামার এলাকার মৃত: সবেদ আলী শেখের ছেলে মো: জমির আলী শেখ এবং ঝিনাইদহ জেলার পবহাটী গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। রায় ঘোষণার সময় জমির আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত থাকলেও কুদ্দুস পলাতক রয়েছে। ট্রাইব্যুনাল তার বিরুদ্ধে সাজা উল্লেখ করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল তাদেরকে বেকসুর খালাশ দিয়েছেন। তারা হলেন, খাদিজা বেগম, মো: গোলাম মোস্তফা এবং নুর নাহার বেগম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২০ সালের ১৪ জুন নগরীর গল্লামারী এলাকার রাইসা ক্লিনিকে শিউলি বেগম নামের এক নারী সিজারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। রাতে শিউলির শারিরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সকালে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। ১৫ জুন রাতে নিহতের স্বজনেরা ওই ক্লিনিকের মালিক ও চিকিৎসক রকিব খানকে মারধর করেন। ১৬ জুন শহীদ শেখ আবু নাসের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরদিন ১৭ জুন নিহতের ভাই সাইফুল ইসলাম চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত সাত-আট জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট মো: আহাদুজ্জামান দৈনিক জন্মভূমিকে বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছয় জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীর ডিসচার্জের আবেদনের শুনানি শেষে আদালত একজনকে মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদাণ করেন এবং অন্য পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। চার্জশিটভুক্ত ২২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন কার্যদিবসে সাক্ষ্য দিয়েছেন।