ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়ায় আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে অসহায় এক পরিবারের বসতবাড়ি ভেঙে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পরিবারটি। গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা রুদাঘরা পল্লীতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা ও থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রুদাঘরা গ্রামস্থ মৃত আনারুল খানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম খানের সাথে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন শেখের জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তারই জের ধরে প্রভাবশালী প্রতিপক্ষ জাহিদুল ইসলামের বসতবাড়ি দখল করবে বলে নানা ভাবে হুমকি দিতে থাকে। উপায়ন্ত না পেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটি প্রথমে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ পরে খুলনা অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে গত ৭জুন উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা ও নালিশি জমির উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখতে রঘুনাথপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মোঃ জহুরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি নোটিশ প্রেরণ করা হয়। কিন্তু ওই নোটিশ উপেক্ষা করে ঘটনার দিন সকালে দেলোয়ার হোসেন শেখ,মুস্তাক শেখ, রাশিদুল ইসলাম,আলহাজ গাজী সহ অনেকেই দা, লাঠিসোটা নিয়ে জাহিদুল ইসলাম খানের টিনশেডের বসতবাড়ি ও টালির ছাউনী রান্নাঘর ভেঙে লন্ডভন্ড করে দেয়। স্থানীয় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শহিদুল ইসলাম খান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, তার চোখের সামনে তান্ডব ও হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে লন্ডভন্ড ও মালামাল নিয়ে যাওয়ার মত লোমহর্ষক ঘটনা তিনি আগে কখনও দেখেনি। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে পরিবারটির। এ প্রসঙ্গে কথা হয় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী তৌহিদুল ইসলামের সাথে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জাহিদুল ইসলাম খানের দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজন ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে উভয়ের বক্তব্য শুনে সার্ভেয়ার নিযুক্ত করে পরিমাপ দিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। কিন্তু সেটি ও আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গায়ের জোরে বসতবাড়ি ভাংচুরের মত যে ঘটনা ঘটিয়েছে এটি ন্যাক্কারজনক। আমি তাদের শাস্তির দাবি জানাই। ঘটনা প্রসঙ্গে ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।