ডুমুরিয়া : খুলনার ডুমুরিয়ার চুকনগর বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিল্পপতি জয়দেব মন্ডল সরকারি খাস পেরি ফেরি জমি দখল করে স্থায়ী ভাবে দ্বিতীয় তলা ভবন নির্মাণ করেছেন।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে ডুমুরিয়া চুকনগর বাজারে ব্যবসা বাণিজ্য করে শ ,শ কোটি কোটি টাকা বানিয়েছেন জয়দেব মন্ডল।
এহা ছাড়া বাজারে আলি রেজা,আলি বাদশা, বাবুল, ইকবাল,প্রদিপ, নজরুল গাজী,মিজান, ইউসুফ সরদার, কামরুল বিশ্বাসসহ অনেকেই পাকা ইমারত নির্মাণ করেছেন।
বিগত ১৬ বছরের ব্যবধানে বহু জমির মালিক হওয়া ছাড়াও হরেক রকম ব্যবসাও দাঁড় করিয়েছেন। সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ তো আছেই।
একাধিক ব্যাংক হিসেবে রয়েছে তার কোটি কোটি টাকা। টাকার দিমাকে অভিজাত এলাকায় বসবাস করা ছাড়াও চড়েন দামি গাড়িতে। এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলার সাহস পায়না। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে জয়দেব ২০১২ সালে চুকনগর বাজারের যতিন কাশেম সড়ক এলাকায় সরকারি খাস পেরি ফেরি জমি দখল করে । সরকারি খাস জমি অবৈধভাবে দখল করে সেখানে টিনশেড বাড়ি ও দোকান করেছেন। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে নানা ক্ষোভ রয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি জানান, জয়দেব মন্ডল ২০০৮ সালের আগে নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেয়া সে স্হানী সংসদ সদস্য হাত ধরে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটতে থাকে। এ ছাড়াও সরকারি খাসজমিতে পাকা ভবন কিংবা ভিত্তি স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। ওই ভবনের উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি এলাকার সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়দেব মন্ডল তার ০১৭১৪৪৭৬২৬৬মুঠো ফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি ২দ্বিয় তলা ভবন নির্মাণ করেছি।আমার আগের আলি রেজা,আলি বাদশা মিজানুর রহমান সহ আরো অনেকে করেছে সে কারণে আমিও করেছি।
ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন সরকারি খাস ফেরি পেরি জমিতে টিনের চাল দিয়ে ঘর তৈরি করতে পারবে।
কিন্তূ বহুতলা ইমারত নির্মাণ করতে পারবে না।
এ ব্যাপারে বয়ারশিং ইউনিয়নের উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ভবন নির্মাণের বিষয়টি নিয়ে উপজেলা উপ সহকারী কমিশনার (ভূমি) মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত রিপোর্ট তৈরি করে সহ কমিশনার নিকট প্রেরণ করা হবে। সহকারী কমিশনার ভূমি আইন গত ব্যবস্থা নেবে।
এব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আরাফাত হোসেন তার ০১৩২২৮৭৫৫৪৪ মুঠো ফোনে ফোন দিলে রিসিভ করে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেয় আবারো একাধিকবার ভোন দিলে ,অজ্ঞাতকরণে তিনি ফোন রিসিভ করেননি
এ ব্যাপারে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল আমিন বলেন, সরকারি পেরি ফেরি খাসজমিতে স্থাপনার কোনো সুযোগ নেই। কিছু অসাধু ব্যক্তি ডুমুরিয়া উপজেলার যে সকল দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পেরি ফেরি জমিতে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছে সে গুলি অভিযান চালিয়ে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মিত্র বলেন, সরকারি খাসজমিতে পাকা ভবন স্থাপনের কোনো সুযোগ নেই। ইউএনও এবং এসিল্যেন্ডকে নির্দেশ দিয়েছি সরকারি জায়গা অবৈধভাবে দখলদারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।