ডুমুরিয়াল ওলকচু চাষ করে স্বাবলম্বী ‌কৃষাণি নমিতা মল্লিক

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-২৫ - ১৪:৪৯

ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের কৃষকরা ঝুঁকে পড়েছেন বাণিজ্যিক ভাবে ওলকচু চাষের দিকে। উপজেলার কৃষকদের অর্থকারী ফসল হিসেবে ওলকচু সহ কৃষকরা এখন সব রকম ফসল আবাদ করার প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবার ৮০ হেক্টর জমিতে উন্নত মানের ওলকচু চাষ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল জাতের ওলকচু চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তারা কয়েক বছর ধরে স্থানীয় ও মাদ্রাজী জাতের উচ্চ ফলনশীল ওলকচু চাষ করে আসছেন। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পেরে খুশি ওই গ্রামের কৃষকরা। শুরুতে স্থানীয় কৃষি অফিসের মাধ্যমে ওলকচুর বীজ সংগ্রহ করলেও এখন তারা নিজেরাই বীজ উৎপাদন করে এটির চাষ করে থাকেন।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. ইনসাদ ইবনে আমিন জানান, ডুমুরিয়া উপজেলায় ১৪ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে কৃষকরা ৮০ হেক্টর জমিতে ওলকচু চাষ করেছেন। তিনি আরো বলেন, এই অঞ্চলে ওলকচু চাষ ভালো হয়। বাণিজ্যিকভাবে কৃষকরা ওলকচু চাষ করতেন না। আমাদের কৃষি বিভাগ বর্তমান উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকদের হাতে কলমে ওলকচু চাষ করতে পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকেরা বাণিজ্যিকভাবে ওলকচুচাষ শুরু করেছে। কন্দাল জাতীয় সবজি নিরাপদ, বিষমুক্ত উচ্চমূল্যের একটি সবজি। এই সবজি সহজেই রপ্তানি করা সম্ভব। বৈদশিক মুদ্রা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে এই কন্দাল জাতীয় সবজি উৎপাদন করে।

উপজেলার খর্নিয়া ইউনিয়নের বামুন্দিয়া গ্রামের রবিন্দ্রনাথ মল্লিকের স্ত্রী মহিলা কৃষাণি নমিতা মল্লিক ওলকচু চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে, তিনি আমাদের ডুমুরিয়া খুলনা প্রতিনিধি শেখ মাহতাব হোসেন কে জানান, আমি ওলকচু চাষ বুঝতাম না, কিভাবে আবাদ করতে হয়, নিয়ম কারণ জানা ছিল না বর্তমানে আমি কৃষি অফিসার মো. ইনসাদ ইবনে আমিন স্যারের পরামর্শ ওলকচুর আবাদ করেছি।রোদযুক্ত জায়গায় লাগানো গেলে ফলন ভালো হয়। বাজারদর ভালো, ফসল না তুললেও ক্ষতি হয় না। দেরিতে তুললে ফলন আরও বাড়ে। মোট কথা, ওলকচু চাষে লোকসানের আশঙ্কা নেই বললেই চলে।
চলতি বছরে ৪৫ শতক জমিত ওলকচুর চাষ করে আমার ৬২ হাজার টাকা খরচ করে ২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বিক্রি করছি ওলকচু ভালো ফলন হওয়ায় আমরা ১লক্ষ ৮৬হাজার টাকা লাভ পেয়েছি, পাশাপাশি আমি ৫০শতক জমিতে উন্নত জাতের বেগুন চাষ করে লাভবান হয়েছি।

এদিকে কৃষি বিভাগের উপসহকারী মোঃ রেজাউল ইসলাম জানান, ভালো পরিচর্যা হলে ১টি ওলকচু সর্বনিম্ন ৫ থেকে ১৫ কেজি ওজনের হয়। আর বাজারে এর দামও থাকে ভালো। ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি দরে ওলকচু বিক্রি হয়। সরেজমিনে গিয়ে ডুমুরিয়া উপজেলায় ওলকচুর ভালো ফলন দেখা গেছে।