ডুমুরিয়ার চটচটিয়া সেতু নির্মাণে ২০ গ্রামের মানুষের স্বপ্ন পূরণ

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-২৮ - ১৭:৫৫

ডুমুরিয়া : ডুমুরিয়া উপজেলার অবহেলিত ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হচ্ছে যোগাযোগ থেকে শুরু করে পানি পরিশোধন ও সরবরাহ প্রকল্প স্থাপন, মন্দির-মসজিদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিদ্যুৎসহ প্রায় সব খাতে উন্নয়ন হচ্ছে। নির্মাণাধীন চটচটিয়া সেতু ঘিরে নতুন স্বপ্ন দেখছেন অবহেলিত মাগুরখালী ইউনিয়নবাসী আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ সেতুটি চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা পোষণ করছেন সবাই। এটি চালু হলে মানুষ খুব সহজেই পাইকগাছা হয়ে খুলনা ও সাতক্ষীরা শহরে পৌঁছাতে পারবে। এতে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে। সরজমিনে গিয়ে তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার

১৪টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত ইউনিয়ন ছিল ১৪নং মাগুরখালী ইউনিয়ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৭/১ ফোল্ডার আওতাধীন মাগুরখালী ইউনিয়নের শিবনগর, পূর্বপাতিবুনিয়া, হোগলাবুনিয়া, পশ্চিমপাতিবুনিয়া, ঝরঝরিয়া, কাঠালিয়া, ব্রহ্মারবেড, বৈঠাহারা, শেখেরট্যাক, মহাদেবপুর, মাগুরখালী, কোড়াকাটা, খোরেরাবাদ, হেতাইলবুনিয়া, চিত্রায়ারী, পারমাগুরখালী, গজালীয়া, কাঞ্চননগর, লাঙ্গলমোড়া, আলাদিপুর ও নাথেরকুল গ্রাম মিলে প্রায় ১৮ হাজার লোকের বসবাস। শহর থেকে এলাকাটি দূরে হওয়াতে এ যাবৎ কাল তেমন কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এখানে। চলাচলের ভালো কোন রাস্তা না থাকায় এলাকার মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগ সহ্য করে আসছে সারা জীবন।

এখানকার মানুষের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম ছিল নৌকা। নৌকা যোগে তারা গ্রামের নিজের বাড়ি থেকে অন্যদের বাড়িসহ শহরে যাওয়া আসা করত। রাস্তাঘাট যা একটু ছিল তা বর্ষাকালে হাঁটু কাঁদা হয়ে যেতো। ফলে শহরের সঙ্গে মাগুরখালী এলাকার মানুষের যোগাযোগ একেবারই বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত বলা যেতে পারে। সেই সময় অনেক অসুস্থ রোগীকে অকালে প্রাণ হারাতেও হয়েছে চিকিৎসার অভাবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় এক সময় মাগুরখালীর মানুষ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বর্তমান সরকারের আমলে মাগুরখালীতে প্রায় সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নকাজ চলছে। মাগুরখালী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলে প্রায় ১০০ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। যার মধ্যে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা কার্পেটিং ও ইটের সোলিং দ্বারা উন্নয়ন হয়েছে। প্রায় আড়াইশ কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ মাগুরখালীতে বাস্তবায়নের হতে চলেছে। মাগুরখালী ইউপি চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ সানা বলেন, সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মসূচির সুফল পুরো পুরিভাবেই পাচ্ছেন মাগুর খালীবাসী।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ডুমুরিয়ার মাগুরখালী আর অবহেলিত নেই। সরকারের সারা দেশের উন্নয়নের ছোঁয়া মাগুরখালীতেও পৌঁছে গেছে। একটা সময় সেখানে রাস্তাঘাটসহ উন্নয়নমূলক কিছুই ছিল না। এখন শেখ হাসিনা সরকারের আমলে আমরা মাগুরখালীসহ ডুমুরিয়া উপজেলার প্রতিটি সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন করতে পেরেছি।