আব্দুল লতিফ মোড়ল (ডুমুরিয়া) খুলনা : ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিমাংশু বিশ্বাস, ইউপি সদস্য প্রীতিশ বৈরাগী ও লোকেশ্বর কবিরাজ এবং একই এলাকার তিনজন শিক্ষককে বহিস্কারের দাবি উঠেছে।
উল্লিখিত শিক্ষকরা হচ্ছে উপজেলার এনজিসি এন্ড এনসিকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সৌরেন্দ্র নাথ হালদার, উলা মৈখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রুদ্র মিস্ত্রী ও খুলনার গোবরচাকা পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলাই মন্ডল।
উল্লিখিত ছয় জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষক ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত হওয়ায় এ দাবি জানানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়ে মামলার বাদি অমরেশ গাইন রোববার খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
অভিযোগকারী অমরেশ গাইন বাংলাদেশ ‘মাইনোরিটি ওয়াচ’ নামে একটি মানবাধিকার সংগঠনের কর্মী। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ২৭ সেপ্টেম্বর খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিমাংশু বিশ্বাস এবং সদস্য প্রীতিশ বৈরাগী ও লোকেশ্বর কবিরাজসহ কয়েকজন তাকে মারপিট করে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ৩ অক্টোবর তিনি খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আদালতের নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআই’র তদন্তে সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়েছে। যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
অভিযোগপত্রে তিনি আরও উল্লেখ করেন, স্থানীয় সরকার আইন ২০০৯’এর ৩৪ ধারামতে কোন ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্য ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত হলে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার বিধান রয়েছে। কিন্তু উল্লিখিত অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি।