ডুমুরিয়া, খুলনা : স্থায়ী জলাবদ্ধ এলাকার বিল বাদুড়িয়ার ২৭ বিলের পানি নিষ্কাশন আজও হয়নি। এবছর ২ হাজার একর জমিতে ইরি বোরো আবাদ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকার কৃষকদের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে। দেখা যায় উচু জমিতে কৃষকরা আবাদ করছে। বাদ বাকী নিচু জমিতে সেচের মাধ্যমে ধান রোপনের আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাতে আশানুরুপ ফল আসছে না। সিংহভাগ আবাদী জমিতে পানি জমে আছে। কেশবপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এ ব্যাপারে দারুন উদাসীনতা লক্ষ করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায় গত বছর নরনিয়া স্লুইজ গেটের পানি নিষ্কাশন পথ ভদ্রা ও বুড়ি ভদ্রা নদী। কিন্তু নদীসমূহের খনন প্রকল্প কাজ চলমান রয়েছে। সেকারণে পানি নিষ্কাশন পথ বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। কেন্দ্রীয় পানি কমিটির সদস্যবৃন্দ ও ৫টি ইউনিয়নের প্রায় ৩১টি গ্রামের জনসাধারণ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড অতিরিক্ত অর্ধ বরাদ্ধ দিয়ে বিকল্প চ্যানেলের মাধ্যমে গত নভেম্বরে ২৭ পানি নিষ্কাশনের কার্যক্রম শুরু হয়। তাতে আটলিয়া, মাগুরাঘোনা, বিদ্যানন্দকাটি, মঙ্গলকোট, তেতুলিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার প্রান্তিক চাষীদের সফলতা আনলেও রয়ে যায় প্রায় ২ হাজার একর আবাদী জমি এখনও হাটু পানি যা এ মৌসুমে ইরি বোরে চাষাবাদ না হওয়ার আশংকা রয়েছে। বাদুড়িয়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম জানান আমরা কষ্ট করে জমির পানি সেচের মাধ্যমে চাষ আবাদ করেছি। কিন্তু এখনও বিলে হাটু পানি জমে আছে। মৎস্য ঘের মালিকরা ও নরনিয়া স্লুইচ গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন ঠিক মত হচ্ছে না। ফলে হাজার হাজার একর জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে না। কারণ গেটের সামনে পলি জমে উচু হয়ে পড়েছে আবার কোথাও কোথাও ভদ্রা মাঝে বাধা রয়েছে। এগুলি দ্রুত অপসারন করে পানি নিষ্কাশন জরুরী হয়ে পড়েছে। এলাকার বেশ কিছু কৃষকের সাথে আলাপ করে জানা যায় তারা বর্তমান, বিলে পানি থাকার কারনে বীজ তলায় ধানের পাতোর বয়স বেশী হয়ে যাচ্ছে পাতো নষ্ট হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। এ অবস্থা থেকে দ্রুত পানি নিষ্কাশন না হলে প্রায় ২ হাজার একর জমিতে ফসল হবে না। এলাকায় অভাব দেখা দেবে কৃষক আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এ ব্যাপারে পান্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা জানান ৩টি উপজেলার স্থায়ী জলাবদ্ধ এলাকায় কৃষক যাতে এ বছর ইরি বোরো আবাদ করতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।