আ: লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া(খুলনা): ডুমুরিয়ার পল্লীতে রাস্তা বড় করার দোহাই দিয়ে এক বিধবার অর্ধ লক্ষ টাকা মুল্যের ৬ টি মুল্যবান গাছ ¯হানীয় কতিপয় আ’লীগ নেতার সহযোগীতায় কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোববার উপজেলার উলা চরাইল গ্রামে। ভয়ে ভুক্তভোগি বিধবা পারুজা বেগম কোথাও অভিযোগ করতে সাহস পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগি পরিবার ও এলাকা বাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার উলা চরাইল গ্রামের মৃত অমেদ আলী মোল্যার বিধবা কন্যা পারুজা বেগম(৫৫) পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত ১০ শতাংশ রেকর্ডীয় জমিতে বসত ঘর বেঁধে অন্যান শরীক ভাইদের সাথে বসবাস করছেন। তার জমির সীমানার পাশ দিয়ে পারিবারিক ভাবে চলাচলের জন্যে ছোট একটি রাস্তা রয়েছে। রাস্তার পাশ দিয়ে বিধবার মেহগিনি সহ বেশ কয়েকটি মুল্যবান গাছ লাগানো ছিলো। ¯হানীয় ইউপি সদস্যসহ কয়েক জন আ’লীগ নেতা রাস্তা বড় করার দোহাই দিয়ে বিধবাকে তার জমিতে লাগানো গাছ গুলি কেঁটে নেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো। এক পর্যায়ে গত রোববার ¯হানীয় ইউপি মেম্বর ও আ’লীগ নেতা আবুল হাসান, ভান্ডারপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারন স¤পাদক আকরাম হোসেন মোল্যা, মল্লিক নাছিমুল ইসলাম,২নং ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি রুহুল আমিন সানা, সাধারন স¤পাদক আ:রাজ্জাক মোল্য সহ আরো কয়েকজন নেতা-কর্মী প্রকাশ্যে দাড়িয়ে থেকে বিধবার গাছ গুলি কেঁটে দিয়েছে। এ বিষয়ে বিধবার ছেলে সেলিম শেখ অভিযোগ করে বলেন, ভ্যান গাড়িতে করে আমার মামা বজলুর রহমানের বাড়িতে ইট,বালু সিমেন্ট নিতে ছোট রাস্তা জন্যে বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় নেতারা উনার পক্ষ নিয়ে গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। রাস্তা বড় করার জন্যে আমরা জাগয়া দিতে চেয়ে ছিলাম।তবে শর্ত দিয়ে ছিলাম ওই রাস্তার আশে পাশের জমির মালিকদের কাছ থেকেও সমান হারে জায়গা নিতে হবে। কিন্ত উনারা তা না করে আমাদের গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য আবুল হাচান জানান, রাস্তাটি সম্প্রসারন করে জনসাধারনের চলা-চলের জন্যে ৪০ দিনের কর্ম সৃজন কর্মসূচির শ্রমিক দিয়ে মাটির কাজ করানো হবে। ইতোপূর্ব একাধিক বার পারুজা বেগম ও তার ছেলেদের বলা সত্বেও তারা গাছ গুলো কাটছিলো না। তাই তার অন্যান ভাইয়েরা আমাদের উপ¯িহতে গাছগুলো কেটে ফেলে ছিলো। অভিযোগের জানতে চাইলে আ’লীগ নেতা আকরাম হোসেন মোল্যা জানান, বিষয়টা পারুজা বেগম ও তার ভাইদের মধ্যে যাতায়তের রাস্তা নিয়ে অনেক দিন ধরে বিবাদ চলে আসছিলো। এ নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপ¯িহতে একাধিক বার শালিশী বৈঠকও হয়েছে। সেখানে রাস্তাটা বড় করতে সব জমির মালিক সম্মত হয়ে কেউ কেউ তাদের গাছ কেটে সরিয়ে নিলেও পারুজা তার কাছ না কাটায় তার ভাইয়েরা গাছ গুলো কেটে দিয়েছে। গাছ কাটা খবর শুনে ঘটনা ¯হল থেকে ফিরে আসা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন, এ ভাবে জীবিত গাছ গুলো কাঁটা ঠিক হয়নি। পারিবারিক বিষয় হলেও তাদের উভয় পক্ষকে আপোষ রফার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ ছিলো বলে তিনি মনে করেন।