ডুমুরিয়ায় করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-১১ - ২০:৪৭

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া প্রতিনিধিঃ চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সামাজিক দুরত্ব রক্ষা ও জন সচেতনতা বৃদ্ধিতে এবার কঠোর অবস্থানে নেমেছেন প্রশাসন। স্বাস্থ্যবিধি ও নির্দেশনা না মানলেই রয়েছে জরিমানাসহ শাস্তির ব্যবস্থা।
জানা গেছে, বিশ্ব ব্যাপি ছড়িয়ে পড়া মহামারি ব্যাধি করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় এবার কঠোর অবস্থানে ডুমুরিয়া উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। মুলতঃ মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকেই ছিল এ তৎপরতা। ফলে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি ছিল লক্ষনীয়। সরকারি নির্দেশনা মতে বন্ধ রাখার ঘোষনায় ছিল চা’র দোকান, মার্কেট ও বিপনী-বিতান। এছাড়াও রাস্তায় রাস্তায় লোক সমাগমসহ কোন প্রকার সভা-মিছিল বা সামাজিক অনুষ্টান আয়োজনের ওপর ছিল নিষেধাজ্ঞা। তবে কাঁচা তরকারি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আর ঔষধের দোকানগুলো ছিল সিথিলের আওতায়। তবে ঈদ উৎসবের পরবর্তী সময় ধরে সরকারি এ নিয়ম-নীতিতে ভাটা পড়তে শুরু করেছে। এক শ্রেনীর মানুষ নিয়ম-নীতি উপক্ষো করে অস্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করছে। মোড়ে মোড়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে জনতার ভীড়। ব্যবসায়ীরাও সামাজিক দুরত্ব না রেখেই করছেন কেনাবেচা। এমনকি স্বাস্থ্য নির্দেশিকা মতে, অনেকেই হাত না ধুয়ে বা মুখে মাক্স ছাড়াও করছে চলাফেরা। তবে এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় আবারও তৎপর হয়ে মাঠে নেমেছেন প্রশাসন। ১১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত কঠোর অবস্থায় দেখা যাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্য বিধি ছাড়া কেউ নজরে পড়লে তার বিরুদ্ধে গ্রহন করা হবে আইনী ব্যবস্থা। শাস্তির বিধানে আর্থিক জরিমানা আদায়সহ দেওয়া হবে কারাদন্ডের নির্দেশ।
এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব জানান, বিভিন্ন গণ মাধ্যম ও সংবাদে যে ভাবে করোনা পরিস্থিতির ওপর ভয়াবহ খবর শোনা যাচ্ছে, সেক্ষেত্রে আমরা কেউ নিরাপদে নেই। কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ এটা কিছুতেই মানছে না। আমরা গ্রামে ও পাড়া মহল্লায় গিয়ে অনুরোধ করে বলার পরেও তারা বে-খেয়ালি চলাফেরা করছে। রাতের আধারে প্রয়োজন ছাড়া চা’র দোকানে লোকজন ভীড় করছে। তবে আর নয়, এখন থেকে আইনগত ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ১১ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত লক ডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখতে সরকারি ভাবে নির্দেশনা প্রেরণ করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোন লোক বা ব্যবসায়ী সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে চলাফেরা করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে আর্থিক জরিমানা আদায়সহ দেওয়া হবে কারাদন্ডের আদেশ।