ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : সম্প্রতি ডুমুরিয়া উপজেলার সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে চোর আতংক দেখা দিয়েছে। গত শনিবার রাতে থানা পুলিশ ও বাজারের নৈশ্য প্রহরীর চোখ ফাঁকি দিয়ে একই রাতে দুইটি বাজারের ৯ দোকানে চুরি হওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে এ পরিস্থিতি। তবে সার্বিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ রাখতে গতকাল সোমবার সকালে প্রশাসনের উর্দ্ধতন মহল ঘটনাস্থল সমূহ পরিদর্শন করেছেন।
জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাতে ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর বাজারে ৫টি ও থুকড়া বাজারে ৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে চুকনগর বাসষ্ট্যান্ড’র পাশে রেজাউল ইসলামের সাইকেল স্টোর, ভিআইপি ফিলিং ষ্টেশনের সামনে রবিউল ইসলামের মুদি দোকানে, সুকর্ণ ঘোষের সারের দোকানে ও ডাঃ মনোনঞ্জন তরফদারের ঘরের তালা ভেঙ্গে চোরেরা নগদ টাকাসহ সাত লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। একইরাতে উপজেলার থুকড়া বাজারেও অনুরুপ ভাবে দোকানের তালা ভেঙ্গে উজ্জ্বল সরদারের মোবাইলের দোকান, রফিকুল ইসলামের মোটর পাটর্স’র দোকানে, রিপন ঢালীর সিলিন্ডারের দোকান ও দন্ত চিকিৎসক ডাঃ ঝুমা রানীর চেম্বারে চুরি হয়। এ সব বাজারে নৈশ্য প্রহরী ও পুলিশের টহল বা স্থায়ী ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে। তাই আকশ্মিক এই চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। এ প্রসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীরা জানান, দোকান নিরাপত্তায় আমরা উন্নত তালা ব্যবহার করি। তাছাড়া বাজারে নৈশ্য প্রহরীও রয়েছে। চুকনগর বাসষ্ট্যান্ডেই অবস্থিত হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্প। আবার রাত ভোর চলে থানা পুলিশের টহল। এরই মধ্যে দোকানে দোকানে চুরি হল। এটা কোন সাধারন ঘটনা হতে পারে না। ডুমুরিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সাথে তদন্ত করছি। আশাকরি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই চোর ও চুরির ঘটনা উন্মোচিত হবে। আর সাধারন মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। খুলনা জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (বি সার্কেল) মোঃ সজীব খান বলেন, চুরি হওয়া কয়েকটি স্থান সমূহ পরিদর্শন করেছি এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।