ডুমুরিয়ায় চেয়ারম্যানের ওপরে ক্ষোভে অনুষ্ঠান স্থগিত

প্রকাশঃ ২০২০-১২-০২ - ১৮:৩১

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়ায় কালী পূজা অনুষ্ঠানে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করায় শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান ও আয়োজক কমিটির তত্ত্ববধায়কের সাথে ধস্তাধস্তি ও চড়-থাপ্পড়ের ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার শোভনা বাদুরগাছা সার্বজনীন শ্মশান মঠ মন্দিরে অনুষ্ঠিত কালী পুজায় এ ঘটনা ঘটে।
আয়োজক কমিটি সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার শোভনা ইউনিয়নের বাদুরগাছা শ্মশান মঠ মন্দিরে গত মঙ্গলবার আয়োজন করা হয় ১২তম কালী পুজা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠান সুচী অনুযায়ী রাত ৯টায় শুরু হয় আমন্ত্রিত অতিথি ও সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বক্তৃতা। আয়োজক কমিটির তত্ত্ববধায়ক প্রনব কান্তি সরদারের সঞ্চলনায় পর্যায়ক্রমে বক্তৃতা করেন প্রার্থী সাগর রায়, জিএম মিজানুর রহমান লিটন, সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আব্দুল গণি, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ডাঃ মনিন্দ্রনাথ মল্লিক ও বর্তমান চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য। এ সময় চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য অন্যান্য প্রার্থীদের সম্পর্কে আপত্তিকর ও পুজা অনুষ্টান বর্হিভূত এমন বক্তৃতা করেন। তখন সঞ্চালক প্রনব কান্তি সরদার পুজা অনুষ্ঠানে এ ধরনের কথা না বলার অনুরোধ করেন। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রনব সরদার তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে পুজা অনুষ্ঠানের পাশে গেলে চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য দলবল নিয়ে সেখানে গিয়ে দু’জনের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক ও ধস্তাধস্তি শেষে উভয়ের মধ্যে চড়-থাপ্পড়ের বিনিময় ঘটে। বিষয়টি নিয়ে গতকাল বুধবার সকালে পূজা স্থানে আয়োজক কমিটির সভাপতি রঞ্জন কুমার সরদারের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুজা সংশ্লিষ্টরা চেয়ারম্যানের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ও ঘটনার সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে সাবেক মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি বরাবর আবেদন পেশ ও পরবর্তী অনুষ্ঠানমালা স্থাগিত করার সিন্ধান্ত গ্রহন করে। এ বিষয়ে সভাপতি রঞ্জন কুমার সরদার বলেন, চেয়ারম্যানের আচারণে আমরা মর্মাহত। গ্রামের পুজা সংশ্লিষ্টরা ও আত্নীয়-স্বজন সবাই মর্মাহত। আমাদের আজও ধর্মীয় আলোচনা ও ভগবত পাঠ আর রাতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু চেয়ারম্যান বা তার লোকজন আবারও আমাদের ওপর কিছু করে কি’না এই আশংকায় বাকী অনুষ্ঠানমালা স্থাগিত করা হল। এ বিষয়ে শোভনা ইউপি চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত কুমার বৈদ্য’র মুঠোফোনে বলেন, বক্তৃতার সময় অন্যরাও আমাকে ইজ্ঞিত করে কথা বলে। তখন সে কোন প্রতিবাদ না করে উল্টো আমার কথা ধরেন। এছাড়াও অতিথিদেও বসার স্থানেও আমার সাথে তিনি অসৌজন্য মুলক ব্যবহার করেন। পরে বাহিরে গিয়ে আমি তার কাছে জানতে চাইলে, সেখানে সামান্য কথা কাটাকাটি ও ঠেলাঠেলি হয়। ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ বিষয়ে আমি শুনেছি। তবে কোন পক্ষ আমার কাছে আসেনি। সিন্ধান্ত নিয়েছি উভয় পক্ষ’কে ডেকে একটা সমাধন করবো।