ডুমুরিয়ায় নলঘোনা খাল খননে খুশি এলাকাবাসী

প্রকাশঃ ২০২১-০৫-২৮ - ১২:৫৬

সুজিত মল্লিক, ডুমুরিয়া (খুলনা) : ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের ভরাট হওয়া নলঘোনা খালটি খনন করায় স্থানীয় কৃষক ও মৎস্য চাষীদের মধ্যে প্রাণ-চাঞ্চল্যতা দেখা দিয়েছে। কৃষিকাজ ও মৎস্য উৎপাদনে তারা পেয়েছেন সহজ সুবিধা।
জানা গেছে, উপজেলা সদরের দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামের কোল ঘেষেই নলঘোনা খাল। অব্যবস্থাপনা ও তদারকির অভাবে ভরাট অবস্থায় ছিল পড়ে। এরই মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক জলাশয় খননের মাধ্যমে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনায় খালটি খনন কাজ শুরু হয়েছে। পৃথক দুইটি প্রকল্পের মাধ্যমে জুলফিকার আলী ও শেখ তৌহিদুল ইসলামের তত্ত্বধানে চলতি মাসের মাঝামাঝিতে কাজের উদ্বোধন করা হয়েছিল এবং জুনের প্রথম সপ্তাহে শেষ হতে পারে কাজ। সিডিউল মতে, প্রায় ২৭ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের গভীরতা হবে ৮ থেকে ১০ ফুট, প্রস্থতা হবে ৬০ থেকে ৮০ ফুট আর লম্বায় হবে ৩৬’শ ফুট। শুরুতে দ্রুত ভাবে খনন করায় বর্তমানে দৃশ্যমান হয়েছে খালটি। যা দেখে স্থানীয় কৃষক ও মৎস্যচাষীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে প্রাণ-চাঞ্চল্যতা। এ বিষয়ে স্থানীয় মিজানুর রহমান বিশ্বাস, আক্তার গাজী ও আব্দুর রহিম মোড়ল জানান, এই মিরে খালি বিলেই আমাদের জমিজমা। এখানে কৃষিকাজে ও ঘেরে মাছ চাষ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। অধিক বর্ষায় বিল তলিয়ে যায়। আবার শুকনোর সময় বৃষ্টি না হলে সব শুকিয়ে যায়। ফলে দেখা যায় অধিক বর্ষায় ভেসে যায় আর খরায় ফসল মাছ মরে যায়। তাই এই খালটি খনন করায় আমাদের কৃষি কাজে খুব সুবিধা হয়েছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতাও আর হবে না। এই খাল দিয়ে গ্রামের পানি নেমে যাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার আবু বকর সিদ্দিক বলেন, জেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক খনন কার্যক্রম পরিচালিত হয়। তারপরও নলঘোনা খালটি খননের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। কারণ এই বিলটি উপজেলা সদরের পাশেই হওয়ায় পানি নামানো বা ওঠানোর ব্যবস্থা ছিল না। ফলে চাষীরা তাদের ঘেরে ইচ্ছে মত পানি ব্যবহার করতে পারতো না। আশাকরি আর ওই অসুবিধা হবে না। এখন চাষীরা খুব সহজে ঘেরে মাছ, ভেঁড়িতে সজ্বি ও বোরো মৌসুমে ধানও উৎপাদন করতে পারবে।