ডুমুরিয়া (খুলনা) : চালকের মুঠোফোনে আলাপের কারণ বুধবার দুপুরে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক ও ডুমুরিয়া উপজেলার মেছাঘোনা নামক স্থানে বি আর টি সি’র একটি যাত্রীবাহী বাস মৎস্যঘেরে নিমজ্জিত হয়। এ সময় এক উদ্ধার কর্মীসহ কমপক্ষে ১৯ যাত্রী আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ২টার দিকে বি আর টি সি’র একটি যাত্রীবাহী বাস যার নং-ঢাকা মেট্রো ব-১১-২০১১ খুলনা থেকে সাতক্ষীরা অভিমুখে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়া ইউনিয়নের মেছাঘোনা ব্র্যাক অফিসের পশ্চিম পাশে পৌঁছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের মৎস্যঘেরের পানিতে উল্টে পড়ে। এ সময় বাসে থাকা যাত্রী মুন্সিগঞ্জের দক্ষিণ কদমতলা গ্রামের জগন্নাথ মন্ডল (৩২), শ্যামনগর এলাকার আনসার আলীর স্ত্রী জাহানারা বেগম (২৮), একই এলাকার শামীম উদ্দিনের ছেলে আকতার শেখ (৪০), মানিকপুরের নজরুল গাজীর স্ত্রী জবেদা খাতুন (৩৭), শ্যামনগরের নিমাই চন্দ্র মন্ডলের কন্যা কলেজছাত্রী নিবেদিতা মন্ডল (২০), কালিগঞ্জ উপজেলার পিয়ার আলীর স্ত্রী সালেহা বিবি (৬০), একই এলাকার ইউসুফ আলীর পুত্র রাকিব হোসেন (২২), মংলা বানিয়াশান্তা এলাকার সুনিল বাওয়ালীর ছেলে উত্তম বাওয়ালী (৩৩), খালিশপুরের আমজাদ আলীর ছেলে গোলাম ফারুক (৪৫), সাতক্ষীরা সদরের আনছার আলীর কন্যা মুন্নি আক্তারসহ (২০) উদ্ধার কর্মী উপজেলার মেছাঘোনা গ্রামের মাহাবুর রহমানের পুত্র মেহেদী হাসান (২০) আহত হয়েছে। বাসযাত্রী খুলনা পলিটেকনিক কলেজছাত্র মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, বাসটির ছাড়ার পর থেকেই কেমন যেন এলোমেলো ভাবে চলছিল। আর ড্রাইভার মোবাইলে আলাপরত থাকায় হঠাৎ বাসটি উল্টে পানির ভিতরে পড়ে। তখন আমাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার কাজ শুরু করে। ডুমুরিয়া উপজেলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার আব্দুল হামিদ জোযার্দার বলেন, বাস দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আহত যাত্রীদের উদ্ধার ও তাদের মালামাল সংরক্ষণ করেছি। ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’র উর্দ্ধতন মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোহাম্মদ মারুফ হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার শিকার হয়ে ১১জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। আর বাকীরা বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়েছে। গুরুতর আহত ২/৩ জনকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে এবং বাকীদের চিকিৎসা অব্যাহত রয়েছে।