ডুমুরিয়া প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া উপজেলার দেড়ুলী গ্রামে ৭ম শ্রেণির স্কুল ছাত্রী মারিয়া খাতুন (১৩)’র ‘আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে লেখা চিঠি’র সুত্র ধরে পুলিশ আন্দুলিয়া গ্রামের রাকিব মোল্লা (২৩)-কে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ ও পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার কে.আর.এ.ডি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেনির ছাত্রী মারিয়া খাতুন-কে তার বসত ঘর থেকে ওড়নায় ঝুলানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মারিয়া’র হাতের লেখা একটি চিঠি(সুইসাইড নোট) উদ্ধার করে। সেই চিঠিতে মারিয়া তার আব্বু কৃষক মোবারক আলী ফকিরকে উদ্দেশ্য করে সোয়া ২ পাতার এক চিঠিতে (পার্শবর্তী আন্দুলিয়া গ্রামের রাকিব মোল্লা ওরফে রাকিব আকুঞ্জি’র) একটা মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে লিখেছে, আব্বু, ওই মোবাইল নম্বরের ছেলেটাকে ধরলে, সব পাওয়া যাবে। সে আমার সঙ্গে নোংরা কাজ করেছে। তাকে পুলিশের মাধ্যমে শাস্তি দিও। ওই চিঠি হাতে পাওয়ার পর উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক করিব হোসেন বলেন মেয়ে-শিশুটির বাবা-কে বাদি করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। আর তার প্রেক্ষিতে গত ২৭ মার্চ সোমবার চিঠির মোবাইল নম্বর সনাক্ত করে আন্দুলিয়া গ্রামের রাকিব মোল্লা ওরফে রাকিব আকুঞ্জি-কে গ্রেপ্তার করে আদালতে চালান করেছেন।
এ প্রসঙ্গে মেয়ে-শিশুটির বাবা মোবারক আলী ফকির বলেন, যার জন্য আমার ছোট্ট মেয়েকে এতো বড় কষ্ট নিয়ে চলে যেতে হলো, আমি আপনাদের মাধ্যমে তার ফাঁসি চাই। উপজেলার রঘুনাথপুর পুলিশ কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক করিব হোসেন বলেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ৩০৫ ধারায় নিয়মিত মামলা করেছি। মেয়েটির চিঠি মোতাবেক আমরা ইতোমধ্যে আসামী রাকিবকে গ্রেপ্তার করে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেছি। তাছাড়া তার পরিবার যাতে ন্যায় বিচার পায়, আমরা সেজন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।