আ: লতিফ মোড়ল, ডুমুরিয়া(খুলনা) : খুলনার ডুমুরিয়ার পূর্ব বিল পাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা’র বিরুদ্ধে আবারও অভিভাবকদের সাথে দুর্ব্যবহার,অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে স্কুলে যাওয়া-আসা সহ বিভিন্ন অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের সাধারন অভিভাবক ও এলাকা বাসির পক্ষ থেকে প্রতিকার চেয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। লিখিত অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলার পূর্ব বিলপাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা প্রায়ই স্বেচ্ছাচারি মূলকভাবে স্কুলে যাওয়া- আসা করেন। কখনও কখনও তিনি শিক্ষার্থীদের মাথার উঁকুন, পাকা চল বাছানো, থালা বাসন ধোয়া সহ বিভিন্ন ফার ফরমায়েশ খাটান।কারনে অকারনে তিনি শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারপিট ও গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে সাধারন অভিভাবরা প্রধান শিক্ষকের কাছে মারপিট করার কারন জানতে চাইলে তিনি তাদের সাথে অসৌজন্য মুলক আচারন করা সহ স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। অভিযোগকারী অভিভাবকদের মধ্যে অন্যতম শর্মিলা রায় জানান, বর্তমানে ৫ম শ্রেনিতে পড়–য়া তার মেয়ে শিবানী রায়কে গত বছর প্রধান শিক্ষক তার বাম কান চড় মারায় বর্তমানে সে কানে ভাল শুনতে পায়না।সাবেক অভিভাবক সুধেন্দু বিশ্বাস জানান,তার মেয়ে হিমা বিশ্বাসকে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল।অভিভাবক আমেনা খাতুন বলেন, গত সপ্তাহ দুয়েক আগে চতুর্থ শ্রেনিতে পড়–য়া তার ভাগ্নি মুক্তা খাতুনের জন্যে টিফিনের সময় ভাত খাওয়াতে স্কুলে ঢুকতে প্রধান শিক্ষক তাকে স্কুল থেকে বের করে দেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে এলাকার কিছু সন্ত্রাসী ও উচ্ছখল প্রকৃতির লোকদের নিয়ে প্রায়ই স্কুলের বাহিরে দাড়িয়ে মিটিং করেন। তার বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যেতে তাদেরকে নিয়ে তিনি দল পাকান। এ নিয়ে তাকে কেউ কিছু বলতে গেলে তিনি বলেন,” আমি প্রধান শিক্ষক।আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো।তাতে আপনাদের কি? আপনারা স্কুল থেকে বের হয়ে যান” বলে তিনি হুমকি দেন। অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক জেসমিন আরা বলেন, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। তাকে স্কুল থেকে সরিয়ে দিতে একটি মহল দীর্ঘ দিন ধরে উঠে পড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দেবাশীষ মন্ডল ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, গত বছর ২২ ফেব্র“য়ারী প্রাধান শিক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের দিয়ে উঁকুন ও পাঁকা চুল বাছানো, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারন শিক্ষকদের সাথে দূর্ব্যবহার,স্কুলের পুরাতন বই ও খাতা পত্র
অবৈধ ভাবে বিক্রি করে টাকা আÍসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগ ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও সাধারন অভিভাবকরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিয়েছিলাম। অভিযোগের বিষয়গুলো নিয়ে দূটি পৃথক তদন্ত টীম সরেজমিনে এসে তদন্ত করে গেলেও এক বছরে ও তার কোন ফলাফল আমরা দেখতে পাচ্ছি না। যার কারনে অভিভাবকদের ভিতর দেখা যাচ্ছে বিরুপ প্রতিক্রিয়া। অচিরেই একটা বিহীত না হলে পরি¯িহতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে চলে যেতে পারে বলে তিনি আশংকখা ব্যক্ত করে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জিএম আলমগীর কবির জানান স্কুলের বেশ কয়েকজন সাধারন অভিভাবক আমার দপ্তরে হাজির হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমি আমার উদ্ধত্বন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।