ডুমুরিয়া (খুলনা) প্রতিনিধি : ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা এলাকায় পাঁকা রাস্তা নির্মাণে সরকারি পুকুর হতে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় কতিপয় ভূমি দস্যু বালু উত্তোনের লক্ষ্যে দুটি শক্তিশালী বুলড্রেজার ম্যাশিন বসিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ফুট বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মানের ঠিকাদারের কাছে বিক্রি করছে। এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে ডুমুরিয়ার উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের আরশনগর গ্রামের সরকার পুকুর নামক স্থান হতে তালা উপজেলার জেয়ালা অভিমুখী রাস্তা পাঁকা করনের জন্য কার্যক্রম চলছে। এ রাস্তা নির্মানের জন্য ঠিকাদারের সাথে ৫লাখ টাকার বিনিময় ৫০ হাজার ফুট বালু উত্তোলন কর সরবরাহের লক্ষ্যে চুক্তি করেছেন এলাকার জনৈক রাশেদ মোড়ল। বালু উত্তোলনকারী শ্রমিকদের কাছে সরকারী পুকুরের বালু কেনো উত্তোলন করা হচ্ছে জানতে চাইলে তারা রাশেদ মোড়লকে দেখিয়ে দেন। রাশেদ মোড়ল সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে কোন কথা বলতে রাজি না হয়ে স্থান ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তার সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নিতি নিজেকে কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দেন। অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, সরকার পুকুর দীর্ঘদিন যাবৎ সরকারি ভাবে খাষ খতিয়ানের সম্পত্তি হিসাবে ইজারা প্রদান করা হয়। কিন্তু ঐ সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে আরোশনগর গ্রামের মিজানুর রহমান মাষ্টার ও কামরুল মাষ্টার আদালতে মামলা দায়ের করে। বর্তমান পুকুরটি নিয়ে সরকারের সাথে মিজানুর গংদের মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নিষ্পত্তি না হলেও ক্ষমতার জোর দেখিয়ে মিজানুর গংরা বালু উত্তোলনের জন্য পুকুরটি বর্তমান রাশেদ মোড়লের মাধ্যমে বুলড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান জানতে চাইলে তিনি বলেন পুকুরটি তাদের রেকর্ডীয় সম্পত্তি বলে দাবী করেন এবং তাদের জমিতে যা খুশি তাই করতে পারেন বলে মন্তব্য করেন। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান বর্তমান যে রাস্তারি নির্মানের জন্য বালু উত্তোলন করা হচ্ছো ওই রাস্তাটি সরকার পুকুরটি পার্শ্বে হওয়ার ফলে বালু উত্তোলন করে রাস্তা নির্মান করা হলে মূল অংশসহ একাধিক ফসলীজমি ধ্বসে যেতে পারে। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস জানান রাস্তা নির্মানের জন্য ঠিকাদারকে টেন্ডারের মাধ্যমে স্থানীয় ভাবে বালু ম্যানেজ করার কথা বলা হয়েছে। কেন সরকারি পুকুর থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বালু উত্তোলন করে তা ব্যবহার করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আপনারা চাইলে রাস্তা নির্মান হবে, না চাইলে হবে না। এ প্রসঙ্গে ডুমুরিয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নাজমুল আহসান খান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চেয়ে বলেন, চেয়ারম্যান ব্যবস্থা গ্রহন না করলে তাকে সহ বালু উত্তোলেনের সাথে জড়িত সবাইকে আইনের আওয়াত আনা হবে।