ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : আগামি ৮ ফেব্রুয়ারীকে ঘিরে কয়রার সাধারণ মানুষ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের মাঝে বেড়েছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ওই দিনই বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলার আদালতে রায় ঘোষিত হবে। কয়রা উপজেলার সর্বত্রই আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে রায় কি রকম হতে পারে সে বিষয়টি। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রায় আদালতের বিষয়, তবে কেউ জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সরেজমিনে দেখাগেছে কয়রা উপজেলার দোকান-পাট, রাস্তার মোড়ে, হাট-বাজার, ক্লাব, চায়ের ষ্টল, জনসমাগমের বিভিন্ন স্থান সহ সর্বত্রই আলোচনার প্রধান বিষয় ৮ই ফেব্রুয়ারী। রায়ে বেগম জিয়ার সাজা হলে কি হবে আর খালাস পেলে কি হবে তা নিয়ে সাধারণ মানুষের বিশ্লেষন। কয়রা বাজারের ব্যবসায়ী সাতক্ষীরা অপটিক্যালের সত্বাধিকারী শেখ রেজাউল ইসলাম জানিয়েছেন, এ রায় নিয়ে রাজনৈতিক আলোচনা ছাড়াও সাধারণ মানুষের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়েছে। আদালতের রায়ে বেগম জিয়ার সাজা হলে আন্দোলন হবে এমন শঙ্কাও করছে সাধারণ মানুষ। তবে মানুষ আর আন্দোলন সংগ্রাম চায় না। কয়রা পুরাতন বাজার চায়ের ষ্টলে বসে কথা হয় হাফিজুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীর সাথে তিনি জানিয়েছেন, এ রায় নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহ থাকা স্বাভাবিক। এই মামলা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা হলেও সাধারণ মানুষ কখনো আমলে নেননি এই মামলার বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য হওয়ায় মানুষের মাঝে কৌতুলও বেড়েছে। এ রায়ের মাধ্যমেই পরিষ্কার হবে বেগম জিয়া দূর্নীতিতে জড়িত নাকি জড়িত নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির একজন শীর্ষনেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, এ রায়কে ঘিরে কেন্দ্রিয় নির্দেশনা মোতাবেক কর্মসূচী গ্রহন করবে বিএনপি। তবে ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে একাধীক বৈঠক হলেও এখনো চুড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে রায়ে সাজা হলে কঠোর কর্মসূচী আসছে এমন ইঙ্গিত ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে দেওয়া হয়েছে। এটি বিএনপি’র অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়।
এছাড়া ঐ দিন রাজপথে থাকার ঘোষনা দিয়েছে কয়রা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি ঐ দিন রাজপথে থেকে বিশৃঙ্খলা করলে কয়রা উপজেলা যুবলীগ তা পতিহত করবে। তিনি যুবলীগের সকল নেতা কর্মীদের মাঠে থাকার আহবান জানান। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে কয়রায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করতে চায় তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এজন্য তিনি সকলের সহযেগিতা কামনা করেছেন।