ইমতিয়াজ উদ্দিন, কয়রা (খুলনা) : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। রায় প্রত্যাশিত না হলে রাজপথের আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপি। তবে মামলার রায়কে ঘিরে কয়রা উপজেলায় আন্দোলনের নামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে কয়রা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক। গতকাল সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার পর কোনও দল বা গোষ্ঠী যাতে কয়রায় অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, কয়রা থানা পুলিশ সেজন্য পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েছে। তিনি জানান, কোনও নির্দিষ্ট তারিখ বা বিশেষ কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমাদের ভিন্ন প্রস্তুতি থাকে। এজন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি কঠোর অবস্থানে থাকবে কয়রা থানার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। রায়কে ঘিরে কোনো বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া হবেনা। আইন সবার জন্য সমান। রায়ের পর কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ যে-ই করুক না কেন তার শাস্তি হবেই। কয়রা উপজেলা ছাত্র লীগ ইতোমধ্যে ৮ ফেব্রুারি মাঠ দখলে রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে বিএনপিও এদিন বড় ধরনের শো ডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এ রায়ের ওপর বিএনপি’র আগামীর রাজনীতির গতিপথ নির্ভর করছে। যা কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয়ত দেশের সার্বিক রাজনীতির অনেক দৃশ্যপট বদলের নিয়ন্ত্রক হতে পারে। তাদের মতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটাই হবে দেশের সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির অভিযোগ বিচারের প্রথম রায়। কয়রা থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অতীতে যারা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির ঘটনায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ছিল, তাদের ধরতে শুরু হয়েছে বিশেষ অভিযান। এরই অংশ হিসেবে তাদের গতিবিধিও নজরে রাখা হচ্ছে। কয়রা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ এনামুল হক বলেন, যারা অপরাধী তাদেরকে গ্রেফতার করহচ্ছে। কোনো নিরপরাধ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়নি, হচ্ছেও না। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়কে কেন্দ্র করে কয়রায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ করতে চায় তাহলে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এতে প্রয়োজন জনপ্রতিনিধিসহ সকলের সহযোগিতা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো রাখতে জনপ্রতিনিধি সহ সচেতন জনসাধারণকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। তবেই কয়রা উপজেলা ভালো থাকবে, শান্তিতে থাকবে কয়রা উপজেলার মানুষ।