আবু হোসাইন সুমন,মোংলা : ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবীতে সাভারের আশুলিয়া থেকে অপহরণের ১৩দিন পর অপহৃত ব্যবসায়ী আবুল বাশারকে মোংলার কচুবুনিয়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-০৬। এ সময় আটক করা হয়েছে সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের মুলহোতা আলম সরদারকে। এ ঘটনায় মোংলা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। র্যাব-০৬ এর অপারেশন অফিসার লে: কমান্ডার এ এম এম জাহিদুল কবির জানান, সাভারের আশুলিয়ার কবিরপুরের লামিয়া বোরকা হাউস ইন্টারন্যাশনালের মালিক মো: আবুল বাশার (৪০) কে গত ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টার দিকে অপহরণকারী আলম সরদারের (৪৮) নেতৃত্বে ১০/১২ জন লোক একটি কালো মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের পর বাশারকে বেদম মারপিট করার পর সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে মোংলার কচুবুনিয়া এলাকায় মুল অপহরণকারী আলমের বাড়ীতে এনে হাত-পা বেধে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখে। আটকে রাখার পর গত ৯ অক্টোবর থেকে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা বাশার পরিবারের লোকজনের কাছে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এরপর অপহৃতের ছোট ভাই মো: সিদ্দিক বিষয়টি পুলিশ ও ডিবি পুলিশকে জানায়। কিস্তু প্রযুক্তিগত সুযোগ-সুবিধা না থাকায় পুলিশ/ডিবি সিদ্দিককে র্যাবের সাথে যোগাযোগের পরামর্শ দিলে তিনি গত ১৬ অক্টোবর র্যাব-০৬ এর কাছে একটি দরখাস্ত দেন। সেই দরখাস্ত মোতাবেক ও অপহরণকারীর মোবাইল ফোন ট্রাকিং করে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের কচুবুনিয়া গ্রাম থেকে বাধা অবস্থায় ব্যবসায়ী বাশারকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপরহণকারী আলম তার নিজ বাড়ীতে এনে ঘরের মধ্যে বেধে আটকে রাখে বাশারকে। এ সময় অপহরণকারী আলমকে আটক করতে পারলেও সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্রের আরেক সদস্য সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায় বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় অপহৃত বাশার নিজে বাদী হয়ে মোংলা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করছেন। মামলায় চক্রের অন্য সদস্যদেরকেও আসামী করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, আবুল বাশার দীর্ঘ ১১ বছর সৌদি আরব থাকার পর দেশে ফিরে সাভারের আশুলিয়ার কবিরপুরের লামিয়া বোরকা হাউস ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি বোরকা কোম্পানী গড়ে তোলেন। আবুল বাশার বাগেরহাটের শরণখোলার রাজেশ্বর গ্রামের মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে। এছাড়া অপহরণকারী চক্রের মুলহোতা আলম সরদার মোংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের কচুবুনিয়া গ্রামের মৃত লাল মিয়া সরদারের ছেলে।