ইউনিক প্রতিবেদক:
স্বপ্নপূরণের প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে, জীবনের লক্ষ্যকে জয় করতে প্রতিবন্ধী সুরাইয়া জাহান ঢাবি’র ভর্তিযুদ্ধে পা দিয়ে লিখে পরীক্ষা দিলেন।
গ্রামের বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলায়। বাবা পেশায় একজন শিক্ষক। মা মুর্শিদা ছফির। সুরাইয়া জাহানের হাত অকেজো থাকলেও পরিবারের আশা মেয়ে এবারের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “খ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হয়ে বড় অফিসার হবে।
সুরাইয়া জাহান হাতে লিখতে না পারলেও, লিখেন পা দিয়ে। আর দশজন শিক্ষার্থীর মতো চেয়ার বেঞ্চে বসে পরীক্ষা দিতে না পারলেও, অংশ নিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধে! শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের “খ” ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে শেরপুর থেকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসেন সুরাইয়া এবং তার মা মুর্শিদা ছফির।
ভেতরে যখন মেয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন, বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন মা মুর্শিদা ছফির। বেলা ১১টা থেকে টানা দেড় ঘন্টার ভর্তি পরীক্ষা শেষে হল থেকে বের হয় সুরাইয়া।
মা মুর্শিদা ছফির বলেন, মেয়েকে নিয়ে আজকের এই অবস্থানে আসার পেছনের গল্পটাও সংগ্রামের। তিন মেয়ের মধ্যে সুরাইয়া প্রথম। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়া সত্বেও মেয়েকে কখনও অবহেলার চোখে দেখিনি। সুরাইয়া এসএসসিতে জিপিএ ৪.১১ এবং এইচএসসিতে জিপিএ ৪.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।