শুক্রবার (২ অক্টোবর) রাতে, শৈলকুপা থানায় ১২ জনকে আসামি করে বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন নিহত তিন্নির মা হালিমা বেগম। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত এজাহারভুক্ত ৪ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মামলার মূল হোতা তিন্নির বোন মিন্নি ওরফে মুন্নির সাবেক স্বামী জামিরুল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
এদিকে তিন্নির ময়না তদন্ত রিপোর্ট এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ। তবে তারা বলছে ময়না তদন্তে ধর্ষণের আলামত মিলেছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে ব্যাপক অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, শনিবার (৩ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানবন্ধন কর্মসূচী পালন করবে। তিন্নিকে হত্যার এ বর্বোরচিত ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবিতে এ মানববন্ধনের ডাক দিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা শিক্ষার্থী তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, ধর্ষণের পর হত্যা করেছে তারই বোনের সাবেক স্বামী জামিরুল। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে জামিরুল ও তার তিন সহযোগী বাড়িতে একবার হামলা চালায়। এরপর রাত ১১টার দিকে তাদের বাড়িতে আবারো সহযোগীসহ প্রবেশ করে জামিরুল। ছিনিয়ে নেয়া হয় তাদের মোবাইল ফোন। এরপর সহযোগীদের বাইরে রেখে তিন্নির রুমে প্রবেশ করে জামিরুল। রাত ১২টার দিকে জামিরুলের চলে যাবার পর সিলিং ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থার তিন্নির মরদেহ উদ্ধার করে প্রতিবেশীরা।