কয়রা(খুলনা)প্রতিনিধি : আসন্ন ঈদ-উল ফিতর কে সামনে রেখে রোজার শেষের দিকেই জমে উঠেছে মার্কেটগুলোতে ঈদের কেনাকাটা। সব বয়সের মানুষের ভীড় জমাচ্ছেন বাজারের বিভিন্ন মার্কেটে। যার যার পছন্দ অনুযায়ী কাপড় কিনছেন তারা। বুকে ভারী কাজ করা কামিজের কোমর থেকে নিজ পর্যন্ত কাটা। সঙ্গে বড় ঘেরের স্যালোয়ার ও ওড়না। নায়রা নামে এই নতুন ডিজাইনের থ্রিপিস। অপর দিকে ১০০% রিমন্ড কটনের গলার মাঝখানে সুন্দর পুরোটায় কাজ করা, তার উপর মাল্টি কালারের বাটন করা, গলার নিচে আবার টার্সেল করা, দুই সাইড দিয়ে প্রিন্ট করে প্যানেল করা এবং নিচে লেছ করা। সঙ্গে বড় ঘেরের ওড়না। আনার কলি নামে এই নতুন ডিজাইনের টুপিছ। কয়রার ঈদ বাজারে এবার তরণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। গতকাল রবিবার কয়রা সদরের বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, সব দোকানে নতুন ব্র্যান্ড ও ডিজাইনের পোশাক উঠেছে। দোকান গুলোতেও ভিড় জমতে শুরু করেছে। প্রতিমা বস্ত্র সম্ভারের স্বত্বাধিকারী দেবাসিষ জানান, নায়া ও আনারকলি ফ্যাশনের থ্রিপিস এবছর বেশি চলছে। শর্ট ও লং দুই ধরনের নায়রা কামিজ রয়েছে। তরুনীরা দোকানে ঢুকেই নায়রা খুঁজছেন। আবার অনেকেউ খুজছেন আনারকলি। এছাড়া শিশু, কিশোরী ও তরুনীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বাহুবলী, হুররাম, আলম, মুফতি, মাহী,বাজিরা ও মাস্তানি নামের থ্রিপিস, গাউন ও লং কামিজ। সঙ্গে রয়েছে বাহারি ডিজাইনের শাড়ী। ছেলেদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাঞ্জাবী, জিন্স প্যান্ট, জি স্টার, হোরিউড ও টি শার্ট। পাশাপাশি দেশীয় কাপড়ের কদরও একেবারে কমে যায়নি । ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পোশাকের দাম যে বেড়েছে এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। শিশুদের পোশাকের দাম তুলনামূলক বেশি। তবে সীমিত লাভ করে বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন তারা। শারমিন, বৃষ্টি, সুলতানা, হাসান, সজিবসহ একাধিক তরুন তরুণী প্রতিবেদককে জানান, প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে ক্রেতারা অনেকটা জিম্মি। পোশাক ক্রেতার পছন্দ হয়েছে- এটা দোকানিকে বলা মাত্র ইচ্ছেমত দাম চেয়ে বসেন। নায়রা ৫ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা, আনারকলি ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, অন্যান্য থ্রিপিস আড়াই হাজার থেকে ৫ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।