তারেক জিয়ার প্রধান অর্থ যোগানদাতা শাহ আলমের হাতে জিম্মি বাংলাদেশ রেলওয়ে

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-২০ - ২০:৪৭

বিপ্লব দে,চট্টগ্রাম: বাংলাদেশ রেল মানেই পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্ত-শাসিত প্রতিষ্ঠান, বর্তমান রেলমন্ত্রী বলেছেন সরকারের ভিতরে আরেকটা সরকার, তথ্য অনুসারে বাংলাদেশের তিনভাগের একভাগ সম্পদের মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে। রেলের এই বিশাল সম্পদের টেন্ডার, লিজ, নিয়োগ, অনবোর্ড, ক্যাটারিং, বেসরকারি ট্রেন, দোকান, আবাসিক হোটেল, সবই নিয়ন্ত্রণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ২১ শে আগস্টের হামলার মূল আসামী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লন্ডনে পলাতক  তারেক জিয়ার প্রধান অর্থ যোগানদাতা ও তারেক জিয়ার বন্ধু সাজাপ্রাপ্ত আসামি গিয়াস উদ্দিন আল মামুনের মামলা পরিচালনাকারী “শাহ আলম”।

অনুসন্ধানে জানা যায় চট্টগ্রাম চেম্বারের নির্মিত বহুতলা তলা বিশিষ্ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার এর অর্ধেক ভূমির মালিক বাংলাদেশ রেলওয়ে, আর এই অর্ধেক জায়গায় ২৪ তলা বিশিষ্ট বিশাল টাওয়ারের ৬ হাজার বর্গফুটের একটি মাত্র ফ্লোরের মালিকানা পেয়েছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। রেলের মালিকানাধীন এই ৬ হাজার স্কয়ার ফুটের ফ্লোরটি  প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা (পূর্ব) ও উক্ত দপ্তরের কর্মচারীদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়েছেন শাহ আলমের এস এ কর্পোরেশন।

আরো জানা যায় চট্টগ্রাম রেল-স্টেশনের পার্কিংয়ে অবৈধভাবে ২৫ টি দোকান নির্মাণ করেছেন এস এ কর্পোরেশন ও লীজের শর্ত অমান্য করে অবৈধ ভাবে ভাড়া দিয়েছেন কভারভ্যান-রিক্সা ভ্যানের মালিকদের। পার্কিংয়ের শেষভাগে শাহ আলমের নেতৃত্বে চলছে মাদক ও জুয়ার আসর।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় বাংলাদেশের রেলওয়ের প্রতিটি ট্রেনের যাত্রী সিটের কভার ফ্রী ওয়াশের নামে এস এ কর্পোরেশন চালাচ্ছেন বিজ্ঞাপন বাণিজ্য পাশাপাশি প্রতিটি বগিতে এলইডি টিভি বসিয়ে বিজ্ঞাপন প্রচার করে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। তাতে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।

আরো জানা যায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই অন-বোর্ড,ক্যাটারিং ও বেসরকারি ট্রেনের ইজারা নবায়ন করেছেন নামমাত্র মূল্যে শাহ আলম ও রিপন সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের নিয়োগপ্রাপ্ত অন-বোর্ড ও ক্যাটারিং এর কাজে নিয়োজিত কর্মীদের দিয়ে প্রতিনিয়ত চোরাচালান ও মাদক পাচার চালিয়ে যাচ্ছেন “শাহ আলম”।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন মাদক ব্যবসায়ী ফারুক, ইউসুফ, রুহুল আমিন, মোক্তারকে নিয়ন্ত্রণ করেন শাহ আলম। শাহ আলমের মাদক ব্যবসার প্রধান ২ সহযোগী ফারুক ও ইউসুফের কোটি কোটি টাকা শাহ আলমের নিকট রয়েছেন বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান এস এ কর্পোরেশনের এক কর্মচারী  ।

আরো জানা যায় শাহ আলম সিন্ডিকেট কর্তৃক বাংলাদেশ রেলের সকল আবাসিক হোটেল নামমাত্র মূল্যে লিজ নিয়ে উক্ত আবাসিক হোটেলে চালাচ্ছেন মাদক, চোরাচালান ও পতিতা বাণিজ্য।
জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা- কর্মচারীদের ম্যানেজ করে নামমাত্র মূল্যে রেলওয়ে সকল প্রকার টেন্ডার, লিজ, নিয়োগ বাণিজ্য, চোরাচালান, মাদক ও পতিতা-বাণিজ্য চালিয়ে প্রতিমাসে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন শাহ আলম। এই অবৈধ আয়ের টাকা তারেক জিয়ার নির্দেশে ব্যায় করছেন সরকার বিরোধী কর্মকান্ডে।

শাহ আলমের এক ব্যবসায়ীক পার্টনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান শাহ আলমের হাত অনেক লম্বা, তার সে দাবি করেন বাংলাদেশ রেলের মন্ত্রী, সচিব, ডিজি, জি এম ও প্রত্যেক সেকশনের প্রধান গণ তার ইশারায় চলেন। তিনি আরো জানান ইতিপূর্বে শাহ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরও তাহার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশাসন।

এই সকল বিষয়ে জানতে চাইলে রেল ভবনের উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রতিবেদককে জানান বিএনপি-জামাত জোট সরকার আমল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়ে নিয়ন্ত্রণ করতেন হাওয়া ভবনের সদস্যরা এখনো তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।