তালায় একমাসের ব্যবধানে মুরগীর বাজার দ্বিগুণ: দিশেহারা ক্রেতা

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২০ - ১৪:০৮

তালা প্রতিনিধি : সাংসারিক জীবনে আত্মীয়-স্বজনদের সম্মান রক্ষার্থে ও পরিবারের শখ বা চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে ডিম মাংসের গুরুত্ব অপরিসীম। অথচ নানান অজুহতে তালা উপজেলায় গত এক মাসের ব্যবধানে সব ধরনের মুরগির দাম প্রায় দ্বিগুণ হারে বেড়েছে। অন্যদিকে এ উপজেলায় সময়ের ব্যবধানে বিলুপ্তি প্রায় দেশি মুরগির চড়া মূল্যের বাজারে এখানকার ক্রেতা সাধারণ হয়ে পড়েছেন দিশেহারা। বেড়েছে ডিম ও গরুর মাংসের দাম। তবে এ সকল প্রাণি পালনের ক্ষেত্রে খাবার ও ওষুধের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিম মাংসের দাম বেড়েছে বলে জানা যায়।

 খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হাট বাজারগুলোতে গত এক মাস আগেও ডিম মাংসের দাম ছিল কিছুটা সহনীয় পর্যায়ে। যা বর্তমান সময়ে লাগামহীনভাবে মূল্য বেড়ে হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। ফলে বেশি সমস্যায় পড়ে গেছেন এখানকার শ্রমজীবী দরিদ্র ক্রেতা সাধারণ। এখানে বর্তমানে এক কেজি ব্রয়লার ২৬০ টাকা, সোনালী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৭০ টাকায়। দেশি ও ব্রয়লার (প্যারেন্টস) জাতের মুরগির কেজি ৪শত টাকা ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে সাড়ে সাতশ’ থেকে ৮ শত টাকা, খাশির মাংশ এক হাজার থেকে ১১ শত টাকা কেজি দরে। খুচরা বাজারে ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ১১/১২ টাকা দরে।

মুরগি ক্রেতা আগোলঝাড়া গ্রামের মোঃ বেলাল হোসেন জানান, প্রায় এক মাস আগে ১কেজি পোল্টি মুরগির দাম ছিল ১৮০ টাকা। আজকে কিনলাম ২৬০ টাকা কেজি। নিত্য পণ্যের যা দাম তা বাজার করার জন্য বাড়ি থেকে হিসেব করে টাকা আনার পর বাজারে আসলে সে হিসাব গরমিল হয়ে যাচ্ছে। এক্ষুনি তাই এই অবস্থা, রমজান মাসে কি যে হবে তা বলা যাচ্ছে না। এ ধরণের অভিযোগ এখানকার বহু ভোক্তা সাধারণের বলে জানা যায়।

এদিকে ডিম ক্রেতা বিপ্লব হোসেন জানান, এক বছর আগেও ডিমের দাম ৬/৭ টাকা ছিল। অথচ সেই ডিম এখন দোকানদাররা ১২টাকায় বিক্রি করছে। মাত্র আর কয়েকদিন পর রমজান মাস শুরু। বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন মালামালের দাম বাড়ার বিষয়টি মনে হচ্ছে দেখার কেউ নেই!

পোল্ট্রি ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম বলেন, আমাদের যেমন কেনা তেমন বিক্রি। খামারিরা মুরগির দাম বাড়ালে আমাদের আর কি করার আছে। আমরাও চাই মুরগির দাম আগের মতো হোক।

যুগিপুকুরিয়া গ্রামের মুরগির খামার মালিক শহিদুল ইসলাম সরদার জানান, বর্তমানে মুরগির বাচ্চা, খাবার এবং ওষুধের যা দাম সেই তুলনায় মুরগির দাম বাড়েনি। তাছাড়া মালিক মহাজন ধরে ব্যবসা করতে হয়। আর বাকিতে মালামাল কিনলে দোকানদাররা দাম তো বেশি নিবেই। এ ব্যবসা এখন আর করার মত নেই, বহু লোক ঋণগ্রস্ত হয়ে খামার বন্ধ করে দিয়েছে। শুধু মুরগী নয় গৃহপালিত পশু গোখাদ্যের দাম ও যে পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাতে করে মানুষ গরু কেনার আগে চিন্তা করছেন খাবারের। যা খোঁজ খবর নিলে অসম্ভব মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টির সত্যতা জানা যাবে। এদিকে আগত রমজান মাসে যাতে সকল নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছে এলাকাবাসী।