সেলিম হায়দার, তালা : মৎস্য অধিদপ্তর অংগ ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজী প্রোগ্রাম-ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনটিপি-২) এর আওতায় তালায় ২৪ টি সমিতির আওতায় প্রায় ৫ শ’ সৌখিন মৎস্য চাষীর ভাগ্য বদলেছে। প্রকল্পে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র চাষ প্রদর্শনীর আওতায় অনুপ্রেরণা খুঁজে পেয়েছেন ঐ চাষীরা। নেতৃবৃন্দরা বলছেন,তাদের অধিকাংশ সমিতির এখন নিজস্ব পুঁজি দাঁড়িয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের বাইরেও প্রদর্শনীতে বিনিয়োগ করছেন তারা। সফলতাও এসেছে শতভাগ। তাদের দেখে অন্যরাও এখন অনুপ্রেরণা খুঁজছেন।
তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে, মৎস্য অধিদপ্তর অংগ ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজী প্রোগ্রাম-ফেজ-২ প্রজেক্ট (এনটিপি-২) এর আওতায় সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় ৫ বছর মেয়াদী মোট ২৪ টি সিআইজি মৎস্য সমবায় সমিতির প্রতিটিতে ২০ জন করে মোট ৪৮০ জন সদস্য রয়েছে। সমিতির অধিনে কার্প জাতীয় মাছের মিশ্র প্রদর্শনী খামারে প্রকল্পের আওতায় মৎস্য দপ্তর প্রতি সমিতিতে বছরে ৪৫ কেজি কার্প জাতীয় মাছের চারা,২০০ কেজি খাবার,প্যানা বোর্ডের পাশাপাশি সমিতির সদস্যদের মাছ চাষের উপর বুনিয়াদী প্রশিক্ষণ ও নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হওয়া প্রকল্প চলবে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৩ বছরে এর সদস্যরা সফলতা পেয়েছেন শতভাগ। প্রায় প্রতিটি সমিতিরই এখন নিজস্ব পুঁজি দাড়িয়েছে বলেও জানান সমিতির দায়িত্বশীলরা। তাদের দাবি,প্রকল্পের বাইরেও তারা এখন সমিতি থেকে পুঁজি বিনিয়োগ করছেন। এতে প্রকল্পগুলো এগিয়ে যাচ্ছে দ্বিগুণ গতিতে।
এব্যাপারে কথা হয়,কাপাসডাঙ্গা মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি বাবুরাম মন্ডল,জুসখোলা সমিতির সভাপতি শিক্ষক সাইফুল্লাহ,ধানদিয়ার সমিতির গৗতম দাশ,মিঠাবাড়ি সমিতির মিজানুর রহমান,মৎস্য সমবায় সমিতির কুমিরা ইউনিয়নের লিফ শেখ সিরাজুল ইসলামসহ অনেকের সাথে। তারা জানান,চলতি অর্থ বছরে ইতোমধ্যে তারা সমিতি প্রতি ৪৫ কেজি কার্প জাতীয় মাছের চারা ও ২০০ কেজি মাছের খাদ্য ও প্রদর্শনী খামারের জন্য ১ টি করে প্যানা ব্যানার পেয়েছেন। নিয়মিত ভাবে তাদের সকল সদস্যদের দেয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণ। শুধু এখানেই শেষ নয়,নিয়মিত খামারে পরামর্শও দিচ্ছেন,মৎস্য দপ্তরের সংশ্লিষ্টরা। এসময় তারা আরো জানান,ইতোমধ্যে তাদের সমিতিতে নিজস্ব পুঁজি দাড়িয়ে গেছে। প্রকল্পের বাইরেও ঐ পুঁজি থেকে খামারে বিনিয়োগ করছেন তারা। ঠিক এমনিভাবেই এগিয়ে চলেছে প্রতিটি খামার। সূত্র জানায়,তাদের দেখে এলাকার বেকার যুব সম্প্রদায়ও এখন অনুপ্রাণিত হচ্ছেন খামার গড়তে।
এব্যাপারে তালা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল কুমার ঘোষ জানান, তাদের তত্ত্বাবধানে ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজী প্রোগ্রাম-ফেজ-২ প্রজেক্ট এগিয়ে চলেছে দুরন্ত গতিতে। তিনি বলেন,শুধু ফেজ-২ প্রজেক্ট নয়,বিল নার্সারী কার্যক্রমের আওতায় উপজেলার ইসলামকাটি খাল-বিলের উন্মুক্ত জলাশয়ে অবমুক্ত করা হয়েছে রুই জাতীয় ১ শ’ কেজি মাছের পোনা। সাধারণ এলাকাবাসী এর সুবিধাভোগী।বলেও জানান এ কর্মকর্তা।