তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার ১নং ধানদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে সনদ প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। ধানদিয়া ইউনিয়নের সেনেরগাতি গ্রামের অধিবাসী নেকজান বেগম জীবিত থাকলেও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাকে মৃত দেখিয়ে সনদ প্রদান করেছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় নেকজান বেগম তালা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, সেনেরগাতী গ্রামের মদন সরদারের কন্যা নেকজান বেগম বর্তমানে জীবিত আছেন। তিনি ১৯৫৯ সালের ১১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তার বয়স ৬৪ বছর। তিনি সরকারের বয়স্ক ভাতা পেতেন। কিন্তু ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর ধানদিয়া ইউনিয়নের পানেল চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল ইসলাম তাকে মৃত দেখিয়ে সনদ প্রদান করেন। পরবর্তীতে ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষরিত মৃত বয়স্কা ভাতাভোগীদের পরিবর্তন অপেক্ষামান/নতুন উপকারভোগীর তালিকা করা হয়। উক্ত তালিকায় নেকজান বেগমের পরিবর্তে খাদিজা বেগম নামের একজনকে বয়স্ক ভাতা কার্ড প্রদানের জন্য উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে সুপারিশপত্র পাঠান। এ ঘটনায় এলাকায় সচেতন মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুমনা শারমিন বলেন, জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে তালা উপজেলার ধানদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সনদ দেৎয়ায় ওই চেয়ারম্যানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি আমাকে বদলি করার হুমকি দিয়েছেন। আমি ওই সনদ মেনে না নিলে আমাকে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন চেয়ারম্যান।
তবে ধানদিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উক্ত কার্যক্রম সময় তিনি সাতক্ষীরা জেলখানায় ছিলেন। ঐ নারীর মৃত সদন দিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান। পরবর্তীতে আমি জামিনে এসে উক্ত তালিকায় স্বাক্ষর করি। তাছাড়া জীবিত মানুষকে মৃত দেখিয়ে আমার কি লাভ? কেন আমি এটা করবো!
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল কুদ্দুস অভিযোগ পাবার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি তদন্তের জন উপজেলা সমাজসেবা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।