তালা প্রতিনিধি : তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে দুই শতাধিক ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের জায়গা থেকে উচ্ছেদ হয়ে কয়েকমাস ভাসমান অবস্থায় ছিলেন তারা।
জানা গেছে, কুমিরা বাসস্টান্ডে সরকারি রাস্তার জায়গার উপর স্থানীয়দের চাহিদার প্রেক্ষিতে গড়ে ওঠে বাজার। এই বাজারে তিন শতাধিক ব্যবসায়ী ব্যবসা-বাণিজ্য করতেন। সুন্দরভাবে গড়ে উঠেছিল দৃষ্টিনন্দন বাজারটি। তবে বাঁধ সাধে সড়ক কর্তৃপক্ষ। সড়কটি বড় করার কারণে তাদেরকে উচ্ছেদ করা হয়। ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সরকারী খাস জমি ও ইউনিয়ন পরিষদের জায়গার উপর দোকান নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে গেলে পলাশ কুন্ডু, রুস্তম আলী, সামিদুল ইসলাম, অরুণ কুন্ডু, মফিদুল ইসলাম,ইনছার আলী, আব্দুর রশিদসহ কয়েকজন ভাসমান ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তার উপর ঘর করে ছোট খাট ব্যবসা করতাম। সরকার আমাদের উচ্ছেদ করলেও জায়গা দেয়নি। তবে, আর্শিবাদ হয়ে এগিয়ে এসেছেন আমাদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম। আমাদের কাছ থেকে নাম মাত্র জামানাত নিয়ে এই জায়গায় বালু দিয়ে ভরাট করে দোকান ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। তিনি এই ঘরগুলো তৈরী করে না দিলে বাজার গড়ে উঠত না আমরা ব্যবসাও করতে পারতাম না। ভেসে বেড়াতে হতো রাস্তায় রাস্তায়। তারা বলেন, আমরা জামানাত হিসেবে ৫ হাজার করে টাকা জামানত দিয়েছি। যদি কেউ ব্যবসা না করে তাহলে টাকা ফেরত পাবে।
কুমিরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আজিজুল ইসলাম জানান, সড়ক ও জনপদ বিভাগ জায়গা উদ্ধারের জন্য কুমিরা বাসস্ট্যান্ডের বাজারটি গুড়িয়ে দেয়। তখন ক্ষুদ্র, চা ও সবজি ব্যবসায়ীরা অসহায় হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আমি পরিষদের সকল সদস্যদের সাথে আলোচনা করে ইউনিয়ন পরিষদের নিজস্ব ও সরকারী খাস জায়গায় একটি বাজার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করি। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ব্যাপক আগ্রহের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযেরগিতায় নীচু জায়গা বালু দিয়ে ভরাট করে নামমাত্র জামানত নিয়ে দোকান ঘর তৈরী করে ৩০০ টাকা মাসিক চুক্তিতে দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়। তবে,ব্যবসায়ীরা নিয়মিত ভাড়ার টাকা পরিশোধ করছেন না।
তিনি আরও বলেন, এটা আমার ব্যক্তিগত কোনো বিষয় না। যে দোকানগুলো তৈরী করা হয়েছে সব ইউনিয়ন পরিষদের টাকায়। এর আয়ও ইউনিয়ন পরিষদে জমা হয়। শুধুমাত্র অসহায় ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে এসেছে।