তালা : চলতি মৌসুমে সরকারি লক্ষ্যমাত্রার পাশাপাশি তালা উপজেলায় বারি ১৪ সরিষা চাষের বাম্পার ফলন হয়েছে। উন্নয়ন প্রচেষ্টার আরএমটিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ধানদিয়া ও তালা সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠজুড়ে সবুজের বুকে হলুদ রংয়ের আঁচড় পড়েছে। কৃষকের চোখে মুখে আনন্দের রেখার সাথে ফুলের হলুদ রাজ্যে মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা মাঠ। মাঠ পর্যায়ের কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তাদের আশা এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর তালা উপজেলায় সরিষা চাষে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে। ইতিমধ্যে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। এ বছর অধিকংশ কৃষক ভাল ফলনের জন্য বারি-১৪, টরি-৭ ও ১৫ জাতের সরিষা চাষ করেছেন। বাকি ১০ ভাগ চাষ হয়েছে দেশী সরিষাসহ অন্যান্য জাতের। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা কৃষকদের।
ফুলবাড়ি গ্রামের সরিষা চাষী আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে উন্নয়ন প্রচেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বারি-১৪ জাতের সরিষা আবাদ করেছেন। এ জাতের সরিষার ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো পাবেন বলে তিনি আশা করছেন।
সদর ইউনিয়নের সরিষা চাষী শেফালী খাতুন বলেন, সরিষা চাষে খরচ ও পরিশ্রম দুটোই কম। বিঘা প্রতি জমিতে এক কেজি সরিষার বীজ বপন করতে হয় সার, বীজ, কীটনাশকসহ সকল খরচ মিলে প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়। ফলন ভালো হলে বিঘায় চার থেকে পাঁচ মণ সরিষা পাওয়া য়ায়। তবে সরিষা চাষ করতে ভাল বীজ, সার, সেচ ও যত্ন করা জরুরী। উন্নয়ন প্রচেষ্টা থেকে পাওয়া জৈব সার দিয়েছি আশা অনুযায়ী ফলও পাওয়া গেছে বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন বলেন, অত্র উপজেলায় চলতি বছর ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে। কৃষকদের মাঝে সরকারিভাবে সরিষা বীজ প্রদানসহ তাদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ বছর কৃষকরা বারি ১৪ জাতের সরিষা চাষে লাভবান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।