তালা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা তালার এক পাষন্ড স্বামী কর্তৃক নির্মম নির্যাতনের শিকার মোছাঃ রাজিয়া পারভীন (২৭) নামের দুই কন্যা সন্তানের জননী বিচারের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে তালা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন তালা উপজেলার খেরশা ইউনিয়নের দক্ষিণ শাহাজাতপুর গ্রামের কাজী কামরুল ইসলামের মেয়ে রাজিয়া পারভীন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, সামাজিক ভাবে একই গ্রামের মৃত আব্দুল মালেক মোড়লের বড় ছেলে আব্দুল হাকিমের সাথে ২০০৯ সালে বিবাহ হয়। এরই মধ্যে পর্যায়ক্রমে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি কন্যা সস্তানের জন্ম হয়। তার স্বামী বর্তমানে একটিবে-সরকারী চ্যানেলে চাকুরী করেন। সেই সুবাদে প্রথম থেকেই ঢাকায় বাসা বাড়া নিয়ে বসবাস করেন।
বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন তার উপর নির্যাতন চালাত। বিভিন্ন সময় স্বামী হাকিম রাজিয়ার পারভীন উপর ধারাবাহিক অমানবিক শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকে। এছাড়া তার স্বামীর চাকুরী চলে যাওয়ায় তার পিতার মাতার দেওয়া তিন ভরি স্বার্ণাংকার বিক্রয় করে নেয়।
তিনি আরও জানান, গত এক বছর পূর্বে তার স্বামীর চাহিদা অনুযায়ী যৌতুক না দেওয়ায় ঢাকা থেকে তার বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। সেই থেকে দু’কন্যা সন্তান নিয়ে বাপের বাড়ীতে থাকে।
সর্বশেষ তার স্বামী আব্দুল হাকিম ঢাকা থেকে বাড়ীতে আসার খবর পেয়ে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে আমার মা নাছিরন নাহার (৫৫) ও ছোট মেয়ে আরিষাকে নিয়ে গেলে দফায় দফায় মারপিট করে ।
নির্মম নির্যাতনের শিকার রাজিয়া পারভীন জানান, ঐ শুক্রবার সকাল বেলায় তার স্বামীর বাড়ীতে গেলে তার ছোট মেয়েকে কেড়ে নিয়ে তার স্বামী হাকিম গংরা আমাকে মেরে ফেলার জন্য গলাটিপে ধরে এবং বাঁশের লাঠি লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সমস্ত শরীরে ফোলা ও জখম করে পুকুরে ফেলে দেয়।
এসময় তাদের আতœ চিৎকারে এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে । রাজিয়া পারভীন ন্যায় বিচার পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।