তালা প্রতিনিধি : আদালতে ১৪৪ ধারার মামলার নোটিশ পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে বাদীনীসহ ২ বৃদ্ধাকে পিঠমোড়া দিয়ে বেঁধে নির্যাতনসহ প্রতিপক্ষের লোকজন পৈত্রিক বসতভিটা দখলের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার সকালে তালা উপজেলার আটারই গ্রামে। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন বেশ কয়েকটি ফলন্ত গাছ কেটে সাবাড় সহ বাদীনির বাথরুম ভেঙ্গ নিয়ে যায় এবং উক্ত স্থানে সিমেন্টের খুটি দিয়ে ঘর করার চেষ্টা করে।
জানাযায়, তালা উপজেলার আটারই গ্রামের মৃত মফেজ গাজীর পুত্র সন্তান না থাকায় তার মেয়ে অমেলো বেগম শত বছরের পৈত্রিক ভিটার ৪ শতক জমির উপর বসবাস করে আসছে। মফেজ গাজীর পুত্র সন্তান না থাকার সুযোগে অসহায় পরিবারের ৪ শতক বসত ভিটার উপরে কু-নজর পড়ে প্রতিবেশী আব্বাস গাজীগং এর। তারা কয়েক দফায় উক্ত জমি দখলের পায়তারা করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি সরেজমিন তদন্ত পূর্বক একটি আপোষ-মিমাংসার প্রতিবেদন প্রদান করেন। কিন্তু ভূমিদশ্য আব্বাস গং সেটিকে বৃদ্ধাংঙ্গুলি দেখিয়ে জবর দখলের পায়তারা করে। ফলে অসহায় মফেজ গাজীর বিধবা কন্যা অমেলো বেগম সম্প্রতি সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা করেন। গত ২/৩ দিন আগে উক্ত মামলার নির্দেশ প্রাপ্ত হয়ে তালা থানা উক্ত জমিকেত ১৪৫ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৩১ জানুয়ারী সকালে প্রতিপক্ষ আব্বাস গাজী, আহাদ গাজী, হাফিজুল গাজী, হালিম গাজী মিলে মফেজ গাজীর বসতবাড়ীতে প্রবেশ করে বিধবা বৃদ্ধা অমেলা বেগম (৫৫) ও তার বোন জাহানারা (৫২) কে পীঠমোড়া দিয়ে বেধে নির্যাতনসহ বসত বাড়ীর আঙ্গিনার ফলন্ত আম গাছ সহ বাথরুম ভেঙ্গে দিয়ে সেখানে নতুন করে ঘর তোলার চেষ্টাা করে।
তালা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) চৌধুরী রেজাউল করিম জানান, কোর্টের নোটিশ দেওয়ার পর আবার দখলের চেষ্টার বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।