দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে : খুলনা সিটি মেয়র

প্রকাশঃ ২০২১-১০-১৭ - ০৮:৩৪

বিজ্ঞপ্তি :

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলছে। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। দেশ আরও উন্নত সমৃদ্ধশালী করতে আগামী নির্বাচনেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ফের ক্ষমতায় আনতে হবে। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে নৌকা মার্কার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। সেই লক্ষে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যাকে নৌকা প্রতীক দেবেন তার জন্য সকল মান-অভিমান ভুলে কাজ করতে হবে। দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শেখ হাসিনা আমাদের অভিভাবক তিনি যা সিদ্ধান্ত দিবেন সেই সিদ্ধান্ত যারা মানবে না তারা দলের সদস্য থাকতে পারবে না। সুতরাং যারাই নৌকার বিরুদ্ধে কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শনিবার সকাল ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানার পরিচালনায় সভায় বক্তৃতা করেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, মহানগর আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা স. ম. রেজওয়ান, দৌলতপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সৈয়দ আলী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক এস এম আনিছুর রহমান, কাউন্সিলর আনিসুর রহমান বিশ্বাষ, ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি একরাম হোসেন, খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ৩২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মফিজুর রহমান জিবলু, ৩৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক খ. ম. লিয়াকত। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, শেখ শহিদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবীর, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম বন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোশাররফ হোসেন, মনিরুজ্জামান খান খোকন, এস এম আকিল উদ্দিন, এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি, মীর বরকত আলী, সফিকুর রহমান পলাশ, মো. মোতালেব হোসেন, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, রনজিত কুমার ঘোষ, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর শেখ মোহাম্মদ আলী, কাউন্সিলর ইমান হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর মনিরা আক্তার, কাউন্সিলর শাহিদা বেগম, আব্দুল হাই পলাশ. চ. ম মজিবর রহমান, মো. বাবুল সরদার বাদল, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদুল ইসলাম, এ্যাড. শেখ ফারুক হোসেন, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ আবিদ উল্লাহ, শেখ আব্দুল আজিজ, শেখ মফিজুর রহমান হিরু, আব্দুর রউফ মোড়ল, মনিরুল ইসলাম তরফদার, খান হাফিজুর রহমান, মো. ফেরদৌস হোসেন লাবু, শেখ ইকবাল হোসেন, সরদার আব্দুল হামিদ, কাজী জাকারিয়া রিপন, মো. ইউসুফ আলী খান, মো. জাকির হোসেন, এমরানুল হক বাবু, মো. অহিদুল ইসলাম পলাশ, এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. হারুন অর রশীদ, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মোড়ল হাবিবুর রহমান, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. জাফর ইকবাল মিলন, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান ওহিদ, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, মো. সিহাব উদ্দিন, সৈয়দ কিসমত আলী, শেখ আব্দুল হক, মো. নজরুল ইসলাম, এস এম হাবিবুর রহমান, এস এম মনিরুজ্জামান মুকুল।

বর্ধিত সভায় ১৮ অক্টোবর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেল-এর জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের লক্ষ্যে কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে ১৮ অক্টোবর দলীয় কার্যালয়ে দিনব্যাপী কুরআনখানি, বিকাল ৪টায় মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। ২০ অক্টোবর ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সভায় মহানগরের আটরা-গিলাতলা ইউনিয়নের নির্বাচনে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। যারা আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।