দাকোপ প্রতিনিধিঃ দাকোপে স্কুল কর্মচারী নিয়োগে অনৈতিকপন্থা অবলম্বন ও অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবী জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যসহ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় দাকোপ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় খোনা কে,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যোৎসাহী সদস্য পরিতোষ বিশ্বাস বলেন, গত ২৬ আগষ্ট ২০২২ খোনা কে,বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৪র্থ শ্রেনীর কর্মচারী শুন্যপদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ঠাকুরদাস মন্ডল নিজ স্বজনদের নিয়োগ নিশ্চিত করতে তার আস্থাভাজন প্রধান শিক্ষকের সহায়তায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল হোসেনের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাটি ছিল কেবল লোক দেখানো। সভাপতি ঠাকুরদাস, প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল হোসেন পরষ্পর যোগসাজসে লোক দেখানো পরীক্ষার মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। যে কারনে অনুষ্ঠিত ওই পরীক্ষায় আবেদনকারী অনেক যোগ্য প্রার্থী অংশ গ্রহনের সুযোগ পায়নি। সভাপতির পুত্রবধু প্রিয়াংকা মন্ডলকে অফিস সহায়ক, স্বজন শাররীকভাবে অনুপযুক্ত উজ্জল রায়কে নৈশ প্রহরী এবং সুচিত্রা মন্ডলকে আয়া পদে নিয়োগ দানের প্রক্রিয়া চুড়ান্ত করেছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষক কুন্তল বর্মন এবং লাইব্রেরীয়ান তাপস মন্ডল অবৈধ নিয়োগ ও আর্থিক লেনদেন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত ছিলেন। আর এই অনৈতিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে তারা আবেদনকৃত যোগ্য চাকুরী প্রার্থীদের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন থেকে বিরত রাখতে নিয়োগ পরীক্ষা ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্ব করে অনেকটা চুপিসারে পরীক্ষা গ্রহন করে। তা ছাড়া পরীক্ষার পূর্বেই প্রতিটি পদের বিপরীতে লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন ও সভাপতির স্বজনদের নিশ্চিত নিয়োগদানের বিষয়টি প্রচার হওয়ায় যোগ্যরা অনেকেই পরীক্ষায় অংশ গ্রহনের সুযোগ পায়নি আবার কেউ কেউ নিরুৎসাহিত হয়। এ ছাড়া নানা অজুহাতে যোগ্য অনেক প্রার্থীর আবেদনপত্র বাতিল করা হয়। যে কারনে লোক দেখানো কথিত পরীক্ষা বাতিল করে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় যোগ্য ব্যক্তিদের স্কুলে নিয়োগদানের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য তারা দাকোপ উপজেলা প্রশাসনসহ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের নিকট ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন। একই সাথে এই অনৈতিকতার সাথে জড়িতদের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্তসহ শাস্থিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছেন। এ ছাড়া একই ঘটনায় দূর্ণীতির বিষয়টি তুলে ধরে চাকুরী প্রার্থীরা খুলনা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সোহেল হোসেন যথাযথ নিয়ম মেনে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে দাবী করে বলেন, অর্থ লেনদেনের বিষয়টি আমার জানা নেই। সংবাদ সম্মেলনে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অভিবাবক সদস্য শিবপদ অধিকারী, রহিম ফকির, মহিলা সদস্য শাহনাজ বেগম, সাবেক সভাপতি কুবেশ চন্দ্র রায়, নৈশ প্রহরী প্রার্থী পুষ্পেন সরকার, এলাকাবাসীর পক্ষে আতিয়ার শেখ, গোবিন্দ গোলদার, অনিমেষ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।