দাকোপে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চোরাই গরুর পাস দেওয়ার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২২-০৮-১০ - ২২:০৩

দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপে চোরাই গরু বেচাকেনায় বৈধতা (পাস) দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে। সম্প্রতি চুরি হওয়া কিছু গরু বাগেরহাটের একটি হাটে ধরা পড়ায় বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গত কয়েক মাস দাকোপের বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু চুরি হওয়ার প্রবনতা অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে। সম্প্রতি উপজেলার বারইখালী এলাকা থেকে চুরি হওয়া ১৬ টি গরুর মধ্যে মহাদেব মন্ডলের ৫ টি গরু বাগেরহাটের বেতাগা বাজারে ধরা পড়ে। জানা গেছে চুনকুড়ি এলাকার গোলক ব্যাপারী চোরাই গরু গুলো সেখানকার জনৈক রমজান ব্যাপারীর নিকট বিক্রি করে। দাকোপ উপজেলা আ’লীগের শ্রম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য শেখ রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে চুরি হওয়া গরু উদ্ধার অভিযানে বেরিয়ে আসে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের সম্পর্কে নানা তথ্য। এ সকল চোরাই গরু গোলক ব্যাপারীর মাধ্যমে বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি এলাকায় নদী তীরে বেচাকেনা হয়ে আসছে। চুনকুড়ি গ্রামের ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ মোড়ল কোন ইজারাদার না হয়েও ওই সকল চোরাই গরুর পাস দিয়েছেন এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। চুরি হওয়া গরুর মালিক বারইখালী গ্রামের খোকন মন্ডল বলেন, ধরা পড়া চুরির গরুসহ সম্প্রতি একদিনে ৫৫টি গরুর পাস (বৈধতা) দিয়েছেন ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ মোড়ল। অনুরুপ অভিযোগ এনে আ’লীগনেতা সাবেক ইউপি সদস্য রফিকুল শেখ আক্ষেপ করে বলেন, চোরাই গরুর পাস দিয়ে রবীন মেম্বর সে গুলো হালাল করে দেয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য রবীন্দ্রনাথ মোড়ল বলেন, আমার বাড়ীর সামনে নদী তীরে বাজুয়া খুটাখালী এবং চালনা হাটের ইজারাদাররাই এই পাস দিয়ে থাকেন। আগে চালনা হাটের ইজাদাররা দিত। বর্তমানে বাজুয়া খুটাখালী হাটের ইজাদাররা পাস দিচ্ছেন। সেখানে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বেতাগা হাট থেকে উদ্ধার হওয়া চোরাই গরু গুলো গোলক ব্যাপারীর মাধ্যমে চুনকুড়ি থেকে বাজুয়া খুটাখালী হাটের ইজাদারদের নিকট থেকে পাস নেওয়া বলে তিনি দাবী করেন। অপরদিকে চোর চক্রের স্বীকারোক্তি এবং চুরি হওয়া গরু উদ্ধারের পরও তাদের বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দফায় দফায় সালিশ বৈঠক করে চোর চক্রের নিকট থেকে কয়েক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। কিন্তু সেই টাকা হতে গরুর মালিকদের নাম মাত্র কিছু বন্টন করে বাকী টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে এমন অভিযোগ গরুর মালিকদের।