দাকোপ প্রতিনিধিঃ চালনা পৌরসভার নিকাহ রেজিষ্টার (কাজী) ইমদাদুল হকের বিরুদ্ধে দূর্ণীতি অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ এনে দাকোপ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারই সহোদর আজিজুল হক। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দাকোপ প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় উপজেলার নলিয়ান গ্রামের মৃঃ শামসুল হকের পুত্র জি এম আজিজুল হক বলেন, সুতারখালী ইউনিয়নে বিবাহ তালাক রেজিষ্টার (কাজী) না থাকায় আমার ছোট ভাই চালনা পৌরসভার একাংশের কাজী ইমদাদুল হক জেলা রেজিষ্টারের নিকট থেকে অতিরিক্ত হিসাবে ১২০ দিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়। এ সময় তার সহযোগী হিসাবে ওই ইউনিয়নে আমি দায়িত্ব পালন করতে থাকি। বিনিময়ে গত ৩০/০৬/২০১৯ ইং তারিখ সে আমার নিকট থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়। আমি সুতারখালী ইউনিয়নের স্থায়ী কাজী হিসাবে নিয়োগ পেতে ইউপি চেয়ারম্যানের সুপারিশসহ স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ হতে ডিও লেটার প্রাপ্ত হই। তবে আমার ভাই ইমদাদুল হক এ ব্যাপারে অভিজ্ঞ হওয়ায় তার সহায়তায় পূনাঙ্গ নিয়োগ পাওয়ার আশায় আমি উক্ত ডিও লেটারসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তার কাছে রাখি। কিন্তু ইমদাদুল হক বিনিময়ে তাকে ইউনিয়নের অর্জিত আয়ের অর্ধেক তাকে দিতে হবে মর্মে আমাকে শর্ত দেয়। আমি ওই শর্তে রাজি না হওয়ায় দীর্ঘ ৫ বছর সে আমার ডিও লেটারসহ সকল কাগজপত্র আটকে রেখেছে। একই সাথে সে অর্থের লোভে মহসিন, রফিকুল এবং শাহীন নামের ৩ জনকে ওই এলাকায় অবৈধভাবে নিয়োগ দিয়ে তাদের মাধ্যমে অবৈধভাবে বিবাহ রেজিষ্টি করে চলেছে। তার এহেন কর্মকান্ডের বিষয় গুলো বিভিন্ন মহলে জানালে সে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুৎসা রটনাসহ নানাভাবে হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে।
তিনি আরো বলেন ইমদাদুল হক মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বাল্যবিবাহ করায় যা তার কাছে থাকা ১৫ ও ২৩ নং বই তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। এ ছাড়া বীমার নামে বিভিন্নজনের টাকা আত্নসাত, দায়িত্বে থাকা চালনার একটি এতিমখানার কমিটিকে সে ব্যক্তিগত সম্পদের ন্যায় ব্যবহার করে সেখানেও নানা অনিয়মের কথা তুলে তিনি বলেন এক সময় তার চালনায় আসার মত আর্থিক সক্ষমতা ছিলোনা। অথচ বর্তমান বাড়ী ব্যাংক ব্যালান্সের উৎস্য অনুসন্ধান করলে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। বর্তমানে তার নিয়োগকৃতরা সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার নামে কুৎসা রটনা করছে এমন দাবী করে আজিজুল হক বলেন আমি আমার কাগজপত্র ফেরতসহ আপনাদের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। তবে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইমদাদুল হক সব কিছু মিথ্যা বানোয়াট এবং ষড়যন্ত্র দাবী করে বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং প্রশাসনের মাধ্যমে এ বিষয়ে একাধীকবার বসা হয়েছে। পরিবারের সম্মানের কথা ভেবে আমি যে বিষয় গুলো জনসম্মুখে আনতে চাচ্ছিলাম না প্রয়োজনে তুলে ধরলে স্পষ্ট হবে অপরাধী কে !