আজগর হোসেন ছাব্বির : দাকোপে এনজিও কারিতাসের করোনায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগত টাকা বিতরনে ব্যাপক দূর্ণীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। করোনায় দাকোপে এনজিওদের কোন তৎপরতা না থাকার দাবী উপজেলা প্রশাসনের।
দূর্যোগ প্রবন এলাকা হিসাবে দাকোপে বেসরকারী সংস্থা গুলো দাতা সংস্থার অর্থায়নে সব সময় নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে থাকে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের মত ভয়াবহ দূর্যোগে তাদের কোন তৎপরতা নেই। অথচ এই সময়টাই জনসাধারনের সরকারী বেসরকারী সহযোগীতা সব থেকে বেশী প্রয়োজন। এর মাঝে উপজেলার বাজুয়া অঞ্চল কেন্দ্রীক পরিচালিত বেসরকারী সংস্থা কারিতাস এক দফা নগত টাকা বিতরন করেছেন। কিন্তু সেখানে নানা দূর্ণীতি অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে । জানা গেছে বাজুয়া, লাউডোপ এবং কামারখোলা ইউনিয়নের ৪ শ’ পরিবারে তারা পরিবার প্রতি ১৫৫০ টাকা হারে নগত অর্থ বিতরন করেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংস্থাটির সাথে এক সময় সংশ্লিষ্ট ছিলেন এমন দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে জানা যায়, করোনার কারনে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্থ অর্থাৎ যারা কর্মহীন হওয়ায় হাজিরা না থাকায় আয় বন্দ হয়েছে অথচ আতœ সম্মানের বিবেচনায় ত্রান চেয়ে নিতে পারেনা এমন পরিবারকে এই সহায়তার আওতায় আনার কথা। কিন্তু এখানে প্রকৃত দাবীদারদের বঞ্চিত করে যাদের দেয়া হয়েছে তাদের বেশীরভাগ পেয়েছে দলীয়করন ও স্বজনপ্রীতির আওতায়। অভিযোগ মতে জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের তালিকা করায় এই অনিয়মটি হয়েছে। দেখা গেছে যে ব্যক্তিটি করোনায় আদৌ কর্মহীন হয়নি, বার বার সুবিধাভোগী জনপ্রতিনিধিদের কাছের মানুষ এমন ব্যক্তিরাই পেয়েছেন কারিতাসের অর্থ সহায়তা। বাজুয়া ইউনিয়নের সুবিধাভোগী জনপ্রতিনিধিদের কাছের মানুষ একাধীক ত্রান সহায়তা প্রাপ্ত চুনকুড়ির দীপক মন্ডল, বাজুয়ার কবি রায়, মোহন রায়দের মত মানুষ কারিতাসের এই সহায়তা পাওয়া তার উদহারন এমন দাবী তাদের। এ ব্যাপারে সেখানকার সুপারভাইজার সঞ্জিত সরদারের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, টাকা বিতরনের সময় আমি সেখানে ছিলাম না। যে কারনে বাজুয়ায় কত পরিবারকে দেওয়া হয়েছে বা অন্য কোন তথ্য আমার জানা নেই। এক পর্যায়ে প্রকল্পের দাকোপ এরিয়া ম্যানেজার যিনি বর্তমানে খুলনায় অবস্থান করছেন তার নাম্বার চাইলে তিনি বলেন নেই। সুপারভাইজার হিসাবে তার কাছে ম্যানেজারের নাম্বার থাকাটাতো স্বাভাবিক এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আপনার কাছে বলতে আমি বাধ্য নয়। অপর এক সুপারভাইজারের কাছে অর্থ বিতরনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তার শুভাকাংখি স্থানীয় কয়েকজন গনমাধ্যম কর্মির সাথে কথা বলতে বলেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, শুনেছি কারিতাস নগত অর্থ দিয়েছে তবে এর বাইরে কিছু জানিনা। তিনি বলেন করোনায় দাকোপে বেসরকারী সংস্থা গুলোর সামান্যতম সহযোগীতা বা তৎপরতা চোখে পড়ছেনা। এলাকাবাসী কারিতাসের মত একটি প্রতিষ্ঠিত এনজিও’র দাকোপে কর্মরতদের এমন প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডের সঠিক তদন্তসহ ব্যবস্থা গ্রহনে সংস্থাটির উপর মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।