দাকোপ(খুলনা)প্রতিনিধিঃ জেলার দাকোপ উপজেলায় গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্র অনুঃ ৮টার সময় বাজুয়া বিনয় দাসের হোটেল থেকে প্রতারক প্রেমিক অভিজিতকে আটক করে থানা পুলিশ।
সুত্রে জানা যায়, উপজেলা বাজুয়া গ্রামের রবিন্দ্রনাথ মন্ডল ওরফে রবির ছেলে অভিজিৎ মন্ডলদের বাড়িতে বাজুয়া এসএন ডিগ্রী কলেজের মানবিক শাখার দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী বন্যা রায় ভাড়া থাকতেন। বন্যার পিতা মাতা কাছে না থাকায় অভিজিৎ তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। বন্যার সাথে খারাপ আচারণ করায় অভির প্রেমে সাড়া দেয় কলেজ ছাত্রী বন্যা। শেষ পর্যন্ত অভিজিৎ বন্যা সাথে প্রতারনা করায় মৃত্যুর পথ বেচে নেয় বন্যা।
থানা পুলিশ সুত্রে জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর বন্যার মৃত্য দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয় খুলনা মেডিকেল কলেজ হসপাতালে। প্রাথমিক অবস্থায় দাকোপ থানায় গত শুক্রবার একটি অপমৃত্যু দায়ের করা হয়। মামলা নং-২১। বন্যা রায়ের পিতা অনিমেশ রায় বলেন, আমার মেয়ে বন্যার মৃত্য দেহের পাশে তার মুঠোফোন রাখা ছিল। তার পাশে ফোনের পাসওয়ার্ড লেখা একটি ডায়েরিসহ একাধীক প্রেম পত্র রাখা ছিল। আমরা তার মুঠোফনের মাধ্যমে জানতে পারলাম অভিজিতের প্রেমের কারণে বন্যা আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে পুলিশকে অবহিত করা হলে থানা পুলিশ মুঠোফোনসহ প্্েরমপ্রত্র পুলিশ হেফাজাতে নেয়। গত ৯ নভেম্বরে থানায় বন্যা রায়ের পিতা অনিমেশ রায় বাদি হয়ে প্ররোচনা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৫।
অন্য দিকে সরকারী এলবিকে কলেজের মেধাবী ছাত্রী জয়ী মন্ডল গত সোমবার বাজুয়া এসএন ডিগ্রি কলেজের ছত্রলীগের সভাপতি ইনজামাম হক মির্জার হাতে লাঞ্ছিত হয়ে আত্মহত্যা করে। এ খবরটি এলাকায় ছড়াছড়ি হলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি বাজুয়া ছেড়ে অন্যথায় পলাতক আছে।
কেন্দ্র ছাত্রলীগের ৭ নভেম্বর এক বিজ্ঞতিতে জানা যায়, উপজেলার বাজুয়া এসএন কলেজ ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ইনজামাম মির্জাকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দাকোপ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ সাহাবুদ্দিন চৌধুরী এ পতিবেদকে জানায়, বন্যার আত্মহত্যা প্ররোচনাকারীর এক জনকে আটক করা হয়েছে। ইনজামাম হক মির্জাকে আটক করার জন্য অভিযান চলছে।