দাকোপ প্রতিনিধি : দাকোপের পল্লীতে পরসম্পদ লোভী ভুমিদস্যু মামলাবাজ হত্যাসহ ১০ মামলার আসামী শাহআলম গংদের লালসার শিকার এক নির্যাতিত পরিবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদ সম্মেলন করেছে। দাকোপ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার বসতভিটে রক্ষায় দখলবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় উপজেলার কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের ধোপাদী গ্রামের আল আমিন হাওলাদার একই এলাকার মজিদ-শাহআলম হাওলাদারদের দখলবাজ ভুমিদস্যু মামলাবাজ লাঠিয়াল আখ্যায়িত করে বলেন তাদের অত্যাচারে আমাদের মত শান্তিপ্রিয় সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ। ১৯৯০ সালে আমার পরিবার ৫০ শতক জমি কিনে বসতবাড়ী করে গত ২৮ বছর সেখানে আমরা বসবাস করে আসছি। আমার জন্ম ওই বাড়ীতে। কিন্তু গত ২ বছর পূর্বে পারিবারিক প্রয়োজনে কিছু দিনের জন্য আমার পরিবার আমাদের পূর্বের ঠিকানায় গেলে ওই সুযোগে শাহআলম গংরা আমাদের বসত ভিটে দখলের পায়তারা শুরু করে। আমরা ফিরে এলে আমাদের নিজ বাড়ীতে ঢুকতে বাঁধা দেয়। পরবর্তীতে আমরা দাকোপ থানা পুলিশের সহায়তায় বসত ভিটেতে প্রবেশ করি। সেই থেকে তাদের নানা হুমকি ধামকি হামলা মামলার শিকার হয়ে আসছি। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি ওই বাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনে অপারগতা প্রকাশ করেন। সর্বশেষ গত ১৫ মার্চ ২০১৮ রাত আনুমানিক ৮ টার দিকে ওই বাহিনী আমাকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় আমি উর্দ্ধার হয়। এ ঘটনায় আমার পরিবার ভয়ে মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। তিনি বলেন আমি বাগেরহাট পিসি কলেজের সম্মান ২য় বর্ষের ছাত্র ছিলাম। তাদের অত্যাচার নির্যাতনের মুখে পরিবারের পাশে দাড়াতে গিয়ে আমার পড়াশুনা বন্ধ হয়ে গেছে। যে কারনে নিজেদের কষ্টর্জিত ভিটেমাটি রক্ষা এবং শাহ আলম গংদের হিং¯্র থাবা থেকে বাঁচতে আমি আপনাদের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন ও সহযোগীতা কামনা করছি। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন আমাদের এলাকার অভিজিৎ হত্যা মামলাসহ ধোপাদী মৌজায় খাইরুন্নেসার ৮ বিঘা, জসিমের ১২ বিঘা, সুভাষ মন্ডলের জমি দখল, গুম খুন দাঙ্গাহাঙ্গামার অন্তত ১০ টি মামলা আছে শাহআলম গংদের নামে। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে তার পিতা আব্দুল হক হাওলাদার, মাতা তহমিনা বেগম ও ছোট ভাই সুজন হাওলাদার উপস্থিত ছিলেন।