দাকোপে সুষ্ট নির্বাচন করতে প্রশাসনের সর্বাত্বক প্রস্তুতি

প্রকাশঃ ২০১৯-০৩-৩০ - ১৪:৩৬

আজগর হোসেন ছাব্বির, দাকোপ : রবিবার অনুষ্ঠিত হবে ৫ম দাকোপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। এবারের নির্বাচনে জয় পরাজয়ে গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখতে পারে সরকার বিরোধী সমর্থক ভোট এমন আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। দুটি পদে ৬ প্রার্থীর মধ্যে নৌকার সাথে চিংড়ীূ মাছ আর কলসের সাথে হাঁসের তীব্র প্রতিদ্বন্দিতা হতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
খুলনার উপকুলীয় উপজেলা দাকোপে মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ২২ হাজার ৯৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ৬০ হাজার ৭৩৮ এবং পুরুষ ৬১ হাজার ৩৫৯ জন। ৪৯ টি কেন্দ্রের ৩৩৫ টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সুত্রে জানা যায়, যে কোন মূল্যে নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট এবং নিরপেক্ষ করতে সকল প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে প্রতিদ্বন্দি এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে কয়েকটি কেন্দ্রের প্রিজাইটিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনকালীন সময় সার্বক্ষনিক দায়িত্ব পালনের জন্য ৯ জন ম্যাজিষ্ট্রেড মাঠে থাকবে। এ ছাড়া র‌্যাব পুলিশ বিজিবি ও কোষ্টগার্ডের সমন্বয়ে রিজার্ভ ষ্ট্রাইকিংস ফোর্সের ৩ টিম, মোবাইল টিম ১৫ টি মাঠে থাকবে। গুরুত্বপূর্ন কেন্দ্রে ২ জন এবং সাধারন কেন্দ্রে ১ জন পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে আনসার পুলিশের টিম কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচীত হওয়ায় দাকোপে চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সরাসরি ভোট অনুষ্ঠিত হবে। চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনীত আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেনের নৌকা প্রতিকের সাথে দলের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনসুর আলী খানের চিংড়ী মাছ প্রতিকের, এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ সমর্থিত খাদিজা আকতারের কলস প্রতিকের সাথে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সুভদ্রা সরকারের হাঁস প্রতিকের তীব্র প্রতিদ্বন্দিতার আভাষ পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে ওয়ার্কাস পার্টির গৌরাঙ্গ প্রসাদ রায় হাতুড়ি এবং মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী সুফলা মন্ডল ফুটবল প্রতিক নিয়ে মাঠে আছেন। উপজেলার সাধারন ভোটারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে সরকার বিরোধী সমর্থক ভোটাররা কেন্দ্রে যেতে খুব একটা আগ্রহী নয়। সে ক্ষেত্রে জয় পরাজয় নির্ধারনে ওই ভোটাররা গুরুত্বপূর্ন ভ’মিকা রাখতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। বিএনপি জামায়াত সমর্থক ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়া ভোটের বড় অংশটি নৌকার বিপক্ষে যেতে পারে এমন আভাষ মিলছে। যে কারনে শেষ মুহুর্তে চিংড়ী মাছ নৌকার বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দিতায় উঠে এসেছে। বিগত সংসদ নির্বাচনে ভোট না দিতে পারার আক্ষেপ এবং আওয়ামীলীগের সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল চিংড়ী মাছের পক্ষে মাঠে নামায় নির্বাচন জমে উঠেছে। তবে নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন ব্যক্তি ইমেজে অনেক এগিয়ে। বিগত ১০ বছর দায়িত্বে থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ঘুষ দূর্নীতির কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তাছাড়া উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, চালনা পৌরসভার মেয়রসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা সরাসরি নৌকার পক্ষে কাজ করছেন। উপজেলা অওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠন একজোট হয়ে নৌকাকে বিজয়ি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনটি প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ন হতে যাচ্ছে এ কথা নিশ্চিত করে বলা যায়।